কার্তিকেই শীতের আমেজ
প্রকাশ: ২০১৭-১০-৩১ ১১:০৪:১৭
কার্তিকেই শুরু হয়ে গেল শীতের আমেজ। ভোরের দিকে শিশুদের গরম জামা-কাপড় চাপিয়ে স্কুলে যেতে। রাতের বেলা বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রেখেই ঘুমাতে শুরু করেছে মানুষ, শেষ রাতের দিকে গায়ে পাতলা চাদর অথবা কাথা জড়াতে হয়েছে। হঠাৎ মানুষের মধ্যে শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
এজন্য অবশ্য মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও নিকট আকাশে খুবই ধীর গতির একটি ঘুর্ণাবর্ত দায়ী। এ কারণেই হঠাৎ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। এর সাথে আবার দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হওয়ায় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে গেছে। মেঘলা আকাশ ও ঘূর্ণাবর্ত্য সৃষ্টির পেছনের কারণ আবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ।
আবহাওযাবিদেরা জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও এর আশে-পাশের আকাশে সমুদ্র পৃষ্ঠের ১.৫ থেকে ২.১ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি ঘূর্ণাবর্ত্য (সাইক্লোনিক সার্কোলেশন) চলছে। আকাশে কম শক্তি সম্পন্ন এই ঘূর্নাবর্ত্য প্রায় পুরো বাংলাদেশেই বিরাজমান। ফলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব এসেছে।
অক্টোবর মাসের এ সময়ে সারাবছরই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার অবশ্য অক্টোবরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে দুটি নিম্নচাপ হয়ে গেল। এ মাসের মাঝামাঝিতে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। বর্তমান লঘুচাপটি অবশ্য গত ২৯ অক্টোবর সৃষ্টি হয়েছে। এটি আজও লঘুচাপ আকারে ছিল সাগরে। শেষ পর্যন্ত এটা উপকূলে না উঠার ইঙ্গিতই দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। দুই দিনের মধ্যে লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। ফলে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা পর আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। বৃষ্টি যেমন কমে যাবে আবার আকাশেও মেঘ থাকবে না। একই সাথে লঘুচাপটিও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
রাজধানী ঢাকায় ভোরে সূর্য উঠার আগে এবং বিকেলের দিকে ফোটা ফোটা বৃষ্টি ঝরেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বজ্র্য অথবা বজ্র্যসহ বৃষ্টি হতে পারে। অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে।
আজ রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়েছে কিছুটা। ঢাকা বিভাগের ১ মিলিমিটারের বেশি হয়নি। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে একেবারেই বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজারহাটে ৫৮ মিলিমিটার। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে ১৮.৫ এবং সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।