আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক রিমান্ডে
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০২ ২৩:০৪:৪০
ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
শুনানি শেষে রমনা থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুরনবি আসামি দিলদারের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আর গুলশান থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী আসামি গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, কাগজপত্র দেখাতে না পারায় অর্থ পাচারের অভিযোগে ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে দিলদারের বিরুদ্ধে তিনটি ও তার অপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।
এসব মামলায় চলতি বছরের ২২ ও ২৩ অক্টোবর ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২৪ অক্টোবর আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
অর্থ পাচারের এসব মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। কিন্তু মামলার ধার্য তারিখে জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তারা হাজির না হওয়ায় আদালত ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
চলতি বছরের ৬ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের বিরুদ্ধে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়।
ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরই জেরে সাফাতের পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
গত ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।
জব্দকৃত এসব স্বর্ণালংকারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় অর্থ পাচারের অভিযোগে ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে ওই পাঁচটি মামলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালংকার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।
এর আগে ৮ জুন আপন জুয়েলার্সের ওই তিন মালিকের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির পাঁচটি মামলা করা হয়।