২০২১ সালেই তৈরি পোশাক ৫০ বিলিয়নে পৌঁছাবে

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৯ ২১:২৪:০৮


comarce-2017সমালোচনা ও নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তৈরি পোশাক খাত ২০২১ সালেই ৫০ বিলিয়নের রফতানিতে পৌঁছাবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তৈরি পোশাক খাতের যে টার্গেট, অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মনে করে- যে গতিতে আগাচ্ছে ৫০ বিলিয়ন নাও হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি সুষ্ঠুভাবে গ্যাস সরবরাহ এবং আরও সবুজ কারখানা নির্মাণ করতে পারি তাহলে লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) আয়োজিত ‘রফতানি বৈচিত্রতা : চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রাধিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বিইআই বোর্ড গভর্নর সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিডা চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রেডিমেট গার্মেন্টস শিল্পে ৬.৯৯ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। অর্থ্যাৎ ৪ মাসে ৭ শতাংশ এটা ভালো হয়েছে। আমাদের টার্গেট ৮ শতাংশ। এ জন্য ব্যবসায়ীদের যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন আমরা সেটা দেব। আশা করি তৈরি পোশাক খাত ২০২১ সালের ৫০ বিলিয়নের রফতানিতে পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ৩টি পণ্য রফতানি হতো। এগুলো হলো- পাট, চা ও চামড়া। তখন রফতানি ছিল ৩৪৮ মিলিয়ন আর এখন ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক সমস্যা তারপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব এবং ব্যবসাবান্ধব। সব সময় ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি রফতানিযোগ্য সব পণ্যকে বন্ড সুবিধা দেয়ার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, রফতানি খাতের নতুন পণ্য কিভাবে আনা যায় দেখা হচ্ছে। আগে একটি খাতে বন্ড সুবিধা হত। এখন সবাইকে বন্ড সুবিধা দেয়ার চেষ্টা চলছে। সরকারেও পলিসিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করছি।