ব্রেকআপের অসাধারণ ১০টি সুফল!

প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৯ ০০:১১:১১


brackপ্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে বলে রাগে, অভিমানে, দুঃখে নাওয়া-খাওয়া শিকেয় তুলে দুঃখ পালন করছেন! আরে মশাই সেদিন অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছে৷ মনে রাখবেন ব্রকআপ যদি রাত হয়ে থাকে তবে আপনার বাকি জীবনটা দিনের মত উজ্জ্বল৷ ঠিক বুঝলেন না তো? জেনে নিন ব্রেকআপের ১০টি সুফল৷

  • ব্রেক হওয়া মানেই মনের জমা দুঃখ কষ্ট ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়৷ এতে মনে নতুন করে কিছু করার উদ্যম জন্মায়৷ এতে আপনি আপনার জীবন আবার নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারেন৷
  • ব্রেকআপের পরেই আপনি আপনার জীবনে বন্ধুদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন৷ আপনি বুঝতে পারেন যে বন্ধুরা আপনার কথা এত ভাবেন এতদিন আপনি তাদেরই অদেখা করে গিয়েছেন৷ এতে বন্ধুদের সঙ্গে আপনার আবার নতুন করে গাঢ় বন্ধুত্ব তৈরি হবে৷
  • আপনি কোথায়, কার সঙ্গে, কখন ফিরবেন, কখন যাবেন এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পালা শেষ হবে ব্রেপআপের পরেই৷ সোজা কথায় প্রেমিক নামক জিপিএসের হাত থেকে মুক্তি পাবেন আপনি৷
  • আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার ব্রেকআপের পর থেকেই আপনার পেট পরিস্কার হয়ে যাবে যেটি সব খুশির ওষুধ৷ এবার থেকে আপনি বাইরের খাবার এড়িয়ে চলবেন৷ কারণ রাস্তার ধারে যেখানে দাঁড়িয়ে আপনার প্রেমিকের সঙ্গে ফুচকা খেয়েছিলেন সেকানে ফের ফুচকা খেতে আপনার মন অন্তত আপনাকে সায় দেবে না৷
  • এবার থেকে নিজের পছন্দের সিনেমাই আপনি দেখতে পাবেন৷ এতদিন প্রেমিকের মুখের দিকে হয়ত চরম আঁতেল ছবিও আপনাকে হলে বসে গিলতে হয়েছে৷ কিন্তু ব্রেকআপের পরে পাগলু, রোমিও যা ইচ্ছে হয় দেখুন৷ আপনাকে মানা করার মত আর কেউ রইল না৷
  • প্রেমিকার ফোনের বিল, রেস্তোরায় চিকেন তন্দুরীর বিল, হাই-হিল, সেক্সি ড্রেস সবের দামই তো আপনার পকেটকে এতদিন সামাল দিতে হয়েছে৷ ব্রেকআপের পর এবার হাফ ছেড়ে বাঁচার পালা৷ এবার না হয় একটু নিজের ওয়াড্রবের দিকে মন দিন৷
  • অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাতে গেলেও এতদিন প্রেমিকার ভয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন৷ ব্রেকআপের পর আপনাকে আর কে পায়৷ এবার জমিয়ে ঝাড়ি মারুন৷ ফেসবুকেও এবার অন্য মেয়ের প্রোফাইলে জমিয়ে লাইক-কমেন্ট করুন৷ কৈফিয়ৎ চাওয়ার মত আর তো কেউ নেই৷
  • ক্ষণে ক্ষণে ফোনের ঝামেলা আর রইল না৷ ‘সোনা আই লাভ ইউ’, ‘সোনা ডু ইউ মিস মি’ এই ধরণের মেসেজ যেমন আর আপনাকে পড়তে হবে তেমনই এই মেসেজের উত্তরও আর লিখে পাঠাতে হবে না৷ রাতের পর রাত জেগে কথা বলার দিন ফুরোলো৷ এবার আপনার রূপের জেল্লাও বাড়বে৷ কারণ আপনি সময় মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের সময়টা পাবেন৷
  • এতদিন আজব প্রেমের গজব চক্করে আপনি পছন্দের গল্পের বই গুলো কিনেও ফেলে রেখে দিয়েছিলেন৷ প্রেমের চাপে ওতে এতদিন শুধু ধুলোই পড়েছে৷ এবার তো আর আপনার পিছু টান নেই৷ বই গুলো তাক থেকে নামিয়ে একটা একটা করে পড়তে শুরু করুন৷
  • ব্রেকআপের পর কিন্তু মুকেশ বা রফি সাহেবের দুঃখ ভরা গানের অন্য অর্থ খুঁজে পান আপনি৷ আর এই সুযোগেই আপনা মোবাইল বা আইপডে নয়া গানের সংযোজনও হয়ে যায়৷ আর বলা যায় এই গান থেকে প্ররণা পেয়ে আপনার কলম থেকে দুই এক কলি কবিতা বেরোলেও বেরতে পারে৷

স্বাস্থ্যবান পুরুষ হতে চান? পরিবর্তন নিয়ে আসুন প্রতিদিনের খাবারে!

fitnessসাধারণভাবে মনে করা হয় মেদহীন হালকা-পাতলা গড়নের নারী-পুরুষদের সবাই পছন্দ করেন। এরা যা ইচ্ছে তা-ই খেতে পারেন, যা ইচ্ছা তা-ই পড়তে পারেন! কিন্তু এরা কি নিজেদের শরীর নিয়ে সন্তুষ্ট? এরা কি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী? বাস্তব হল এমন মানুষদের অনেকেই নিজেদের হালকা-পাতলা শরীরটা নিয়ে দুর্ভাবনায় থাকেন।

আবার কেউ কেউ তো দিনমান ‘রোগা-পটকা’, ‘তালপাতার সেপাই’ ইত্যাদি শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ। যে যা-ই বলুক, শরীরটা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বোঝার একটা ভালো উপায় হলো ‘বডি মাস ইনডেক্স’ বা উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতের হিসাব। সে অনুযায়ী ওজন কম হলে বিষয়টা ভাবা প্রয়োজন।

কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক তেমনি অতিরিক্ত ওজনহীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে। হালকা-পাতলা শরীরটায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে রক্তশূন্যতা, ঝামেলা থাকতে পারে পরিপাকের। এ ছাড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ঝুঁকি ও হাড়ের দুর্বলতাও চিন্তার বিষয়। ফলে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে এই ছয় পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।

পুষ্টিকর খাবারদাবার

ওজন বাড়াতে হলে খেতে হবে। যা খুশি তা-ই খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের যথাযথ সমন্বয় থাকতে হবে খাবারে। মাংসপেশি গঠন আর ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা মেটানো গুরুত্বপূর্ণ। নানা ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধজাত খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে।

জলের পরিমাণ

ওজন বাড়াতে হলে আগে খিদে বাড়াতে হবে। খিদে বাড়ানোর জন্য হজমে সহায়ক জল পান করুন। সারা দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। তবে, খেতে বসার ঠিক আগে জল খাবেন না বা খাওয়ার মাঝখানেও জল খাবেন না। এতে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়।

হাবিজাবি কম খান

সকাল-দুপর-রাতের ভারী খাবারের মাঝে বারবার এটা-সেটা খাবেন না। কেউ কেউ বলেন দিনে তিন থেকে পাঁচ বেলা ভারী খাবার খাওয়াটাই ভালো। বেছে বেছে পুষ্টিকর খাবারে পেট ভরাতে হবে। হালকা-পাতলা শরীরে বারবার হাবিজাবি ভাজাপোড়া বা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

শর্করায় সতর্কতা

আপনার হালকা-পাতলা শরীর দেখে কাছের মানুষেরা হয়তো কেক-পেস্ট্রিসহ নানা অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খেতে উৎসাহিত করবেন। কিন্তু অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারের বিষয়ে সাবধান। ভিসেরাল ফ্যাট বা স্কিনি ফ্যাটের খপ্পরে পড়ে যেতে পারেন আপনি। এটা এমন চর্বিযুক্ত উপাদান যা হঠাৎ মেদ বাড়িয়ে না দিলেও দেহের ভেতরে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গে বাসা বাঁধতে পারে। তাই শর্করা খেতে হবে বেছে বেছে।

শরীরচর্চা শুরু করুন

সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যত হালকা-পাতলাই হন না কেন ব্যায়ামে আপনিও দারুণ উপকৃত হবেন। রাতে ঠিকঠাক ঘুমিয়ে পড়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মতো অভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। তেমনি শরীরচর্চাটাও জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। ফলে সাধারণ ক্ষুধা মন্দা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন। নিয়মিত শরীরচর্চায় আপনার পেশি সুগঠিত হবে এবং শারীরিক শক্তি বাড়বে। যোগব্যায়ামের অনেক আসন চর্চা করেও আপনি উপকৃত হতে পারেন।

ছেড়ে দিন ধূমপান

যত বেশি ধূমপান করবেন আপনার খিদে না লাগার সমস্যা তত বাড়তেই থাকবে। অবশ্য জগতে অতিরিক্ত ওজনের মোটাসোটা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন এবং হাড় জিরজিরে রোগা-পটকা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন। কিন্তু কথাটা হলো ধূমপান কারও স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো না। আর ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর সবারই প্রথম যে উপকার হয় তা হলো খিদে বাড়তে থাকা।