আজ থেকে কর কার্ড নিতে পারবেন রাজধানীর করদাতারা

প্রকাশ: ২০১৭-১১-২০ ১০:৪৭:১২


taxরাজধানীর করদাতারা আজ থেকে কর পরিচয়পত্র বা কর কার্ড নিতে পারবেন। আপনি যে কর অঞ্চলের করদাতা, সেই কর কার্যালয়ে গিয়ে প্রথমে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে হবে। পরে প্রাপ্তি রসিদটি কর অঞ্চলে জমা দিলেই কর কার্ড পাওয়া যাবে। এ জন্য অবশ্য এক-দুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি কর অঞ্চল থেকে সঙ্গে সঙ্গে কর কার্ড দেওয়া সম্ভব হবে না। সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল থেকে প্রাপ্তি রসিদটি কর অঞ্চল-২-এ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই সব করদাতার নামে কর কার্ড ইস্যু করা হবে। মূলত কর কার্ড ইস্যু করার মেশিন-স্বল্পতার কারণেই কর অঞ্চল-২-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এরই মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন কিন্তু কর কার্ড পাননি, তাঁরা নিজ নিজ কর কার্যালয়ে গিয়ে একই প্রক্রিয়ায় কর কার্ড নিতে পারবেন।

ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন কর কার্যালয়কে আয়কর মেলার আমেজে সাজানো হয়েছে। প্রায় সব কার্যালয়ে কর সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বুথ তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর সারা দেশে কর সপ্তাহ পালন করা হবে।

৩০ নভেম্বর রিটার্ন জমার শেষ দিন। সেদিন গতবারের মতো কর দিবস পালন করবে এনবিআর।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, করদাতারা যাতে সহজে ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে রিটার্ন জমা দিতে পারেন, সে জন্য কর কার্যালয়ে মেলার আমেজ তৈরি করা হয়েছে। কর কার্যালয়ের কর্মীরা করদাতাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। সঙ্গে সঙ্গে কর কার্ড দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে রিটার্ন দেওয়া সব করদাতা কর কার্ড পাবেন।

গত বছর থেকে রিটার্ন জমার সময়সীমার শেষ সপ্তাহে কর সপ্তাহের আয়োজন করা হয়। সাধারণত করদাতারা শেষ সময়ে রিটার্ন দেওয়ার জন্য কর কার্যালয়ে ভিড় করেন। তাঁদের সহজে ও হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।

গত বছর সব মিলিয়ে সাড়ে ১৩ লাখ করদাতা নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। আর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায় এনবিআর।

যা লাগবে:

রিটার্ন জমা দিতে আসার সময় করদাতাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র আনতে হবে। চাকরিজীবীদের অবশ্যই ব্যাংক হিসাব বিবরণী লাগবে। যেসব বাড়িওয়ালা প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি ভাড়া পান, তাঁদের অবশ্যই ভাড়াটিয়ার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিনামা রিটার্নে জমা দিতে হবে। বাড়িওয়ালা করদাতাদের পৌর কর, সিটি করপোরেশন কর, ওয়াসা বিল, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে হয়। এসব খরচ বাড়িভাড়ার আয় থেকে বাদ দিতে হবে। অবশ্য খরচের প্রমাণ হিসেবে বিল ও কর প্রদানের অনুলিপি রিটার্নে সংযুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া জমিজমাসহ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি কিংবা কেনা হলে এর দলিলের কপি দিতে হবে।

এ ছাড়া আয়কর বিবরণীতে আয়ের মোট ১০টি খাত আছে। এগুলোর অন্যতম হলো লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের সুদ, ব্যাংক জমার ওপর সুদ। এসব আয়ের কাগজপত্র ও আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে সরকার-নির্ধারিত কিছু খাতে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পাওয়া যাবে।