লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসি ওএসডি
প্রকাশ: ২০১৭-১২-০৫ ২৩:০৮:১৫
হাই কোর্ট তলব করার পর লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে মঙ্গলবার আদেশ হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সঙ্গে হাতাহাতির পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবারই তাকে তলবের আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শেখ মুর্শিদুলকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশে অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রশাসনে ওএসডি করাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবেই দেখা হয়।
শেখ মুর্শিদুলকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাজির হতে হবে হাই কোর্টে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকেও তলব করেছে হাই কোর্ট।
লক্ষ্মীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফ মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
সোমবার লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভেতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সালাহ উদ্দিন শরীফ ও এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এরপর ইউএনও নূরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সালাহ উদ্দিন শরীফকে ‘অসদাচরণের দায়ে’ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী এবং আশফাকুর রহমান মঙ্গলবার সকালে একটি রিট আবেদন করলে এডিসি ও ইউএনওকে তলবের আদেশ হয়।