পুজদেমনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২০১৭-১২-০৫ ২৩:৩৪:১৫


Puigdemont-2কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও আঞ্চলিক সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুজদেমনের বিরুদ্ধে জারি করা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছে স্পেন।

বিবিসি জানায়, স্পেনের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পাবলো লারেনো মঙ্গলবার সকালে পুজদেমন ও তার সঙ্গে বেলজিয়ামে পালিয়ে যাওয়া চার কাতালান মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে এক মাস আগে একতরফাভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার কাতালুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিলে বেলজিয়ামে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।

২১ ডিসেম্বরের আঞ্চলিক নির্বাচনের আগে তারা দেশে ফিরে আসার স্বদিচ্ছা দেখানোয় পরোয়ানা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণায় জানিয়েছেন বিচারক লারেনো।

তিনি বলেন, ইউরোপজুড়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে আইনগতভাবে তদন্ত চালানো স্পেনের জন্য জটিল হত। কিন্তু পরোয়ানা উঠে যাওয়ায় স্পেন পুরোপুরি নিজেদের আওতাধীনে তদন্ত চালাতে পারবে।

তবে পরোয়ানা প্রত্যাহার হলেও উস্কানিমূলক কর্মকান্ড এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অভিযোগে পুজদেমনসহ অন্যান্যদের এখনও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানিয়েছেন বিচারক লারেনো।

বিদ্রোহ স্পেনে সবচেয়ে মারাত্মক অপরাধ হিসাবে গণ্য। যার সাজা হতে পারে ৩০ বছরের জেল।

কাতালান মন্ত্রীরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত মাসে বেলজিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পন করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওদিকে, পুজদেমন ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পেলে স্পেনে ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন।

সোমবার সাবেক ছয় কাতালান মন্ত্রী রাজধানী মাদ্রিদের কাছের একটি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

তবে কাতালুনিয়ার সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং আরও এক নেতা এখনও কারাগারে রয়েছেন।

স্পেনের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে ‘স্বায়ত্ত্বশাসিত’ কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজন এবং তার ফলাফলের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর কাতালান পার্লামেন্ট স্বাধীতার ঘোষণা করে।

তারপরই আঞ্চলিক সরকার ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করে স্পেন। সেই সঙ্গে পুজদেমন ও তার মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।

যদিও তার আগেই চার সহযোগীকে নিয়ে বেলজিয়ামে চলে যান পুজদেমন। আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় স্পেনের একজন বিচারক ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুজদেমন সহযোগীদের নিয়ে ব্রাসেলসে আত্মসমর্পণ করেন।