জেরুজালেমকে রাজধানীর স্বীকৃতিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ
প্রকাশ: ২০১৭-১২-০৭ ১২:২৮:৫১
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
এ স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
আর এ অঞ্চলে উগ্রবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এদিকে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত সতর্ক থাকতে বলেছে মার্কিন কনস্যুলেট অফিস। একই সঙ্গে অন্যান্য দেশে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে আরব লিগ, কারো আপত্তিই আমলে নিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্রান্স, তুরস্ক সৌদি আরবসহ অনেক মিত্র দেশের আহ্বানকে তোয়াক্কা না করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিল। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, এ ঘোষণা সময়ের দাবি, আরও আগেই এ স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। ইসরাইলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণাও দেন তিনি।
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছেন ইহুদিরা। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনই এ দাবিকে মেনে নেয়নি। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
পবিত্র ভূমি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়ার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিভিন্ন মুসলিম দেশে। এ সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ার ঘোষণাও দেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর পরই গাজার রাজপথে নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে যোগ দেন হামাস নেতারাও। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা। তিন দিনের শোক দিবস পালনের ঘোষণাও দেয়া হয়।
ট্রাম্পের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, সহিংসতাকে আরও উসকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভ হয়েছে তুরস্কেও। এর আগে ট্রাম্পের একতরফা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি জানান, মুসলিমরা তাদের দাবি আদায়ে লড়বেন। রাতেই বিক্ষোভ হয় লেবাননে।