৫ মাসে এসে রফতানি আয়ে লক্ষ্যপূরণ
আপডেট: ২০১৭-১২-০৮ ১৭:৫৯:০৬
অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি। প্রথম চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকলেও ৫ম মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় আশাবাদি রফতানিকারকরা। বছরের শেষপর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রফতানি আয় হবে বলে মনে করছেন তারা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মোট রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রথম পাঁচ মাসের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৪৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৪৫৬ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১৩৬২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ এবছর এখন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক ৮৬ শতাংশ।
রফতানিকারকরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ অবকাঠামো সমস্যা ও গ্যাস-বিদ্যুতের ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যেও রফতানি আয়ে প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। তার মানে এসব সমস্যার সমাধান করা গেলে এই প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়ে যেতো। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির টার্গেট পুরণ করা সম্ভব হতো। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদ দেন তারা।
রফতানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত পোশাক রফতানিতে সাড়ে সাত শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। এবছর এ খাত থেকে মোট ৩০১৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার আয়ের টার্গেট রয়েছে। আর অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৬২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার আয়ের। এটি ছাড়িয়ে আয় হয়েছে ১১৯৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১১১৩ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পোশাক খাতের মধ্যে নিট পোশাক এ সময়ে রফতানি হয়েছে ৬২৪ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ৫৭১ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলারের। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে এক দশমিক ৫৩ শতাংশ কম এবং প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এদিকে একক মাস হিসেবে নভেম্বর মাসে ২৮৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩০৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার। গতবছর এ মাসে আয় হয়েছিল ২৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।