রসিক নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২১ ১১:১৫:৩৭
উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় ভোট নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ে।
রংপুরে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং সংরক্ষিত ১১ ওয়ার্ডে ৬৫ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। ৩৩ ওয়ার্ডে ১৯৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকছে।
এর আগে বুধবার বিকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটের সরঞ্জাম। স্থানীয় নির্বাচন হলেও প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে বইছে জাতীয় নির্বাচনের আবহ। প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ভোটার আজ পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন করবেন তাদের নগরপিতা।
১৯৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাড়ে পাঁচ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নেমেছে মাঠে। ২০৩ বর্গকিলোমিটারের এ সিটিতে নারী ও পুরুষ ভোটার প্রায় সমান সমান।
একটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা থাকবে তিনটি কেন্দ্রে। মেয়রপ্রার্থীদের বুধবার নিজ নিজ বাসায় দলের নেতাদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
মেয়র পদে প্রার্থী সাতজন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় তিন দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা।
২০১২ সালে প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একই দলের দুই প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও মেয়র পদে দলীয় প্রতীক ছাড়াই ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মোস্তফা। ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুদ্দীন।
এবার সরকারদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী সব দিক থেকেই এগিয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।