নেচে নেচে গাড়ি সামলান যে ট্রাফিক পুলিশ!
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৯ ১২:৪০:১১
তাঁকে দেখলে মনে হবে ‘কুইন’ ব্যান্ডের ফ্রেডি মার্কারি জীবন পেয়ে উঠে এসেছেন এই মর্ত্যলোকে! কিংবদন্তির সেই গায়কের মতোই হুবহু মুখাবয়ব আর গোঁফ। কিন্তু রাস্তায় তাঁর গাড়ি সামলানোর কায়দা-কানুন দেখলে আবার ভুল হবে। প্রয়াত পপ কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনের ‘মুনওয়াকিং’য়ের ঢঙে যানজট সামলাচ্ছেন নেচে নেচে! তিনি রণজিৎ সিং, ইন্দোরের ট্রাফিক পুলিশ।
ব্যতিক্রমী দক্ষতায় যানজট সামাল দেওয়া এ মানুষটি আলোড়ন তুলেছেন ভারতজুড়ে। ২০ লাখ লোকের শহর ইন্দোরের ব্যস্ততম রাস্তায় রনজিং সিং ‘মুনওয়াকিং’ নাচের ঢঙে গাড়ি থামার নির্দেশ দেন, তখন কোনো চালকই তা এড়াতে পারেন না। অন্তত চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
রনজিৎ সিংয়ের মতে, শুরুতে নাচিয়ে ট্রাফিক পুলিশিং দেখে মানুষ অবাক হতো। কেউ কেউ বিরক্তও হয়েছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এবং রাস্তার বেপরোয়া চালকটিও তাঁর নির্দেশ মেনে চলেন। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে রনজিতের ভাষ্য, ‘আমি মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত এবং গাড়ি থামাতে ১২ বছর আগে থেকে তাঁর “মুনওয়াকিং” নাচ অনুকরণ করছি। শুরুতে মানুষ বিস্মিত হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং অত্যন্ত কার্যকর।’
ইন্দোরের দূষিত বাতাস আর গনগনে সূর্যের প্রখর খরতাপের নিচে দাঁড়িয়ে হাজারো গাড়ি সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। পথচারী কিংবা চালকদেরও ক্লান্ত লাগার কথা। রনজিতের মতে, তাঁর ‘মুনওয়াকিং’ সবার এই ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়, ‘শব্দ, গরম আর দূষণের মাঝে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই ক্লান্তিকর কাজ। কিন্তু “মুনওয়াকিং” পথচারী থেকে চালকদের বিনোদন দেয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৮ বছর বয়সী এই ট্রাফিক পুলিশ কিন্তু ভীষণ জনপ্রিয়। ফেসবুকে তাঁকে অনুসরণকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তাঁর নাচের ভিডিও শেয়ার করছে হাজারো অনুসরণকারী। ব্যতিক্রমী কিন্তু কার্যকরী ট্রাফিক পুলিশ হওয়ায় রনজিৎকে নিয়ে গর্বিত তাঁর মা-বাবা, ‘ভালোবাসা এবং যে উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে আমি কাজ করছি, সে জন্য আমার মা-বাবা ভীষণ গর্বিত।’