৫০ বছর পর দেশে তাপমাত্রা নামলো ২.৬ ডিগ্রিতে
প্রকাশ: ২০১৮-০১-০৮ ১১:২০:৫৭
হিমালয় থেকে নামছে হিমশীতল বায়ু। শীতের সঙ্গে ঘনকুয়াশায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। ৫০ বছর পর দেশে সর্বনিম্ন তাপামাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে আজ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫০ বছরের ইতিহাসে আজকের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান আজ সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, আজ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নীলফামারির ডিমলায় তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ১২-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
আজ কুড়িগ্রামে চতুর্থ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বেশ ভালোভাবেই। সর্বশেষ রোববার বিকেলে কুড়িগ্রাম আধুনিক সদর হাসপাতালে ঠান্ডায় একদিন বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে মোট ৬ জনের মৃত্যু হলো।
রংপুর, নীলফামারি, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, তীব্র শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না বেশিরভাগ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশি বিপদে পড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা দেখা গেছে অনেকের। সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘনকুয়াশার কারণে মহাসড়কে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।