অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৫ ১২:১৮:৩৪


jubaঅনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে নামিবিয়াকে উড়িয়ে দুরন্ত সূচনা করেছিলেন যুবারা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় তুলে নিলেন তারা। কানাডাকে ৬৬ রানে হারিয়েছে সাইফ বাহিনী।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে কানাডা। পরে সেই বৃত্ত ভাঙতে পারেনি তারা, যা একটু চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক আরসলাম খান। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এ ছাড়া আকাশ গিল ২২ ও কেভিন সিং ২৪ রান করেন। ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কাভিয়ান নারেস। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় কানাডা।

এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার অফস্পিনার আফিফ হোসেন। একরকম তিনি একাই গুঁড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। কানাডা ব্যাটাসম্যানদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ৪৩ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। ২ উইকেট নিয়ে তাতে শামিল হন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নিয়ে দারুণ জয়ে ভূমিকা রেখেছেন কাজী অনীক, রবিউল হক ও সাইফ হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন পিনাক ঘোষ। উইকেটে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক সাইফ হাসানও। মাত্র ১৭ রান করে ফেরেন গত ম্যাচে বিস্ফোরক ইনিংস খেলা এ ব্যাটসম্যান।

তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তৌহিদ। ব্যক্তিগত ৪৭ রান করে নাঈম ফিরলেও থেকে যান তৌহিদ। পরে আফিফকে নিয়ে ১১১ রানের জুটি গড়ে ভিত শক্ত করেন এ ব্যাটসম্যান। আফিফ হাফসেঞ্চুরি করে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন তৌহিদ। ১২৬ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় দুর্দান্ত ১২২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

আফিফ-তৌহিদ বিদায় নিলে শেষ দিকে আর কেউই বুক চিতিয়ে লড়তে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

কানাডার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন ফয়সাল জামখান্দি। ৪৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন যোশি, গিল ও রোমেল শাহজাদ।

এ জয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উঠে গেছে বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে আফিফের হাতে।

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১৮ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।