ব্যাংকের ঋণ বিতরণের ক্ষমতা কমল

প্রকাশ: ২০১৮-০১-৩১ ১১:৪২:৫০


bbবেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ বিতরণে লাগাম টানল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ঋণ বিতরণ সীমা বা ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) দেড় শতাংশ কমানো হয়েছে। আর ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য কমানো হয়েছে ১ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, এতদিন প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো আমানতের ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলো আমানতের ৯০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারত। কিন্তু এখন থেকে এটি কমিয়ে প্রচলিত ধারার ব্যাংকের জন্য সর্বোচ্চ ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হল। অর্থাৎ প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণ করতে পারবে সাড়ে ৮৩ টাকা, আর ইসলামী ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণ করতে পারবে ৮৯ টাকা। এছাড়া ২০টি ব্যাংক আগের নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে আগ্রাসীভাবে ঋণ বিতরণ করেছিল। তাদের আগামী জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য ফেব্রুয়ারিতে একটি পরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, অর্জনের চেয়ে লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে এডিআর। এডিআর সীমা কমানোর ফলে ঋণ বিতরণের সক্ষমতা কমে যাবে। আমানত না বাড়ালে অনেক ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। সংশোধিত সীমার কারণে অতিরিক্ত ১৬ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করতে হবে অথবা আনুপাতিক হারে ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। নির্বাচনী বছরে অর্থের চাহিদা থাকবে। তাই আমাদের দাবি, ছয় মাসের পরিবর্তে আগামী ১ বছরের মধ্যে এই সীমায় আসার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির হার ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। সোমবার ঘোষিত মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়েছে। মুদ্রানীতি ঘোষণার আগের দিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এটা নির্বাচনের বছর, টাকা-পয়সার ছড়াছড়ি হবে, কালোটাকাও আসবে। এ জন্য ঋণ বিতরণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।