‘ফার্স্ট বয়’ হতে পারেননি এই কিংবদন্তিরা

আপডেট: ২০১৮-০২-০৮ ১২:৩৪:৫৫


দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্রিকেট ইতিহাস অনেক ওলট-পালট করেছেন তাঁরা। অথচ র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানের দেখা পাননি কখনোই। এই তালিকার নামগুলো দেখে চমকে যেতে হয়। কোর্টনি ওয়ালশ, ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তি বোলাররা তাঁদের ক্যারিয়ারে কখনো র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারেননি! তাঁদের এই আক্ষেপের ভাগীদার কিন্তু আরও দারুণ কয়েকজন বোলার। আসুন জেনে নিই—

সর্বকালের অন্যতম সেরা আকরাম। ছবি: এএফপিসর্বকালের অন্যতম সেরা আকরাম। ছবি: এএফপিওয়াসিম আকরাম 
সেরা র‍্যাঙ্কিং: ২
তর্ক সাপেক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার এবং নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা বাঁহাতি পেসার। ইতিহাসের একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে ও ওয়ানডেতে চার শর ওপরে উইকেট নিয়েছেন। ‘সুলতান অব সুইং’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এ পাকিস্তানি ১৯৯০ সালের অক্টোবরে উঠে এসেছিলেন বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে। কিন্তু তাঁর চেয়ে ৯০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ম্যালকম মার্শাল। চার বছর পর ক্যারিয়ারসেরা রেটিং পয়েন্ট (৮৩০) নিয়েও আকরামকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় র‍্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থস্থানে! তাঁর সামনে ছিলেন কার্টলি অ্যামব্রোস, ওয়াকার ইউনুস ও শেন ওয়ার্ন।

ভারতের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার কপিল। ছবি: এএফপিভারতের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার কপিল। ছবি: এএফপিকপিল দেব 
সেরা র‍্যাঙ্কিং: ২
কপিল দেবের হাত ধরে ক্রিকেটের প্রথম গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ভারতে। তর্ক সাপেক্ষে ভারতের ইতিহাসে সেরা পেসার কিন্তু সন্দেহাতীতভাবের ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। অবসর নেওয়ার সময় ছিলেন টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৪৩৪)। ১৯৮০ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ১১ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা রেটিং পয়েন্ট (৮৭৭) অর্জন করেছিলেন কপিল। কিন্তু তখন ৮৯৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ইয়ান বোথাম ছিলেন শীর্ষস্থানীয় বোলার। দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কপিলকে।

টেস্টে প্রথম ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া বোলার ওয়ালশ। ছবি: এএফপিটেস্টে প্রথম ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া বোলার ওয়ালশ। ছবি: এএফপিকোর্টনি ওয়ালশ 
সেরা র‍্যাঙ্কিং: ২
টেস্টে কপিল দেবের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড ভেঙেছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। এই সংস্করণে প্রথম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট ছোঁয়ার মাইলফলক গড়া বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান এ বোলিং কোচ তাঁর ক্যারিয়ারে কখনোই র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারেননি। ১৯৯০ সালের জুলাইয়ে ওয়ালশ প্রথমবারের মতো র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে উঠে এসেছিলেন। এক দশক পর ক্যারিয়ারের সেরা রেটিং পয়েন্ট (৮৬৭) পেলেও তিনে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্যারিবীয় কিংবদন্তিকে। তাঁর সামনে ছিলেন শন পোলক ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।

একসময় প্রোটিয়া পেস অ্যাটাকের নেতৃত্ব দিতেন এনটিনি। ছবি: এএফপিএকসময় প্রোটিয়া পেস অ্যাটাকের নেতৃত্ব দিতেন এনটিনি। ছবি: এএফপিমাখায়া এনটিনি 
সেরা র‍্যাঙ্কিং: ২
শন পোলক ও অ্যালান ডোনাল্ডের পর তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে টেস্টে ন্যূনতম ৩০০ উইকেট শিকার করা বোলার। ১০১ টেস্টে এনটিনির ৩৯০ উইকেটের পরিসংখ্যানই বলে কতটা ভয়ংকর ছিলেন। ২০০৬ সালে এপ্রিলে টেস্ট বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছিলেন সাবেক এ পেসার। কিন্তু মুত্তিয়া মুরালিধরনকে হটাতে পারেননি। এনটিনির (৮৬৩) চেয়ে ৫০ রেটিং পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে ছিলেন মুরালিধরন। এনটিনিকে শেষ পর্যন্ত র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

টেস্টে লঙ্কান বোলিং অ্যাটাকে সেরা অস্ত্র হেরাথ। ছবি: এএফপিটেস্টে লঙ্কান বোলিং অ্যাটাকে সেরা অস্ত্র হেরাথ। ছবি: এএফপিরঙ্গনা হেরাথ 
সেরা র‍্যাঙ্কিং: ২
মুরালিধরন অবসর নেওয়ার পর টেস্ট ময়দানে শ্রীলঙ্কান বোলিং অ্যাটাকের ‘সাইনবোর্ড’। এ সংস্করণে প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে চার শ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া হেরাথ ২০১২ সালের নভেম্বরে র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু শীর্ষস্থান থেকে ডেল স্টেইনকে হটাতে পারেননি। চার বছর পর ক্যারিয়ার সেরা ৮৬৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ডেল স্টেইনকে টপকাতে পারলেও শীর্ষে উঠতে পারেননি হেরাথ। ৯০০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে জায়গাটি দখলে রেখেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।