কোটা সংস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে

আপডেট: ২০১৮-০৪-০৯ ১১:৩৮:৫৯


Cuta 3সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা সংস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দলোনকারীরা। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলকারীরা। অন্য দিকে আন্দোলন প্রতিহতের দাবিতে মিছিল করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

আন্দোলনকারীদের সম্বনয়কারী ওমর ফারুক বলেন, সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সরকার আজ আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছে, আমরা তার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি আমাদের দাবি সরকার মেনে নেবে।

অন্য দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাত্রলীগ মেনে নেবে না। যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ সদা প্রস্তুত। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রোববার দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

কেন্দ্রীয়ভাবে রোববার বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন তারা।

কোটা সংস্কার কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী। তাদের দাবি, বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সংস্কার করে কমাতে হবে। চাকরিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছিলেন। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শাহবাগের মূল রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এ সময় আন্দোলনকারী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিতে দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাত থেকে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৬০ থেকে ৭০ জন আন্দোলনকারী আহত হন।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকার কোটা রয়েছে। আর বাকি ৪৪ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। এ জন্য এই কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।