দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশনে শিক্ষক-কর্মচারীরা
প্রকাশ: ২০১৮-০৬-২৬ ১৭:৪৯:১৮
এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা দুদিন ধরে আমরণ অনশন পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে আন্দোলকারীরা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এমন কঠোর কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন তারা।
গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের রাস্তার ওপর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। টানা আন্দোলনের পরও সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে গত সোমবার থেকে আমরণ অনশন মতো কঠিন কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। ‘সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা টি-শার্ট গায়ে ও ‘এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ফিতা মাথায় বেধে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। শিক্ষক নেতারা নানা স্লোগানে আন্দোলনকে চাঙ্গা করে তুলছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাকতা করে বেতন-ভাতা না পেয়ে আমরা বার বার রাজপথে নেমে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। নিজের ন্যায্য পাওনা আজও পাইনি। বেতন-ভাতা না পেয়ে আমরা মানবেতন জীবন যপান করছি। এমন জীবন আমরা চাই না। বাঁচলে বাঁচার মতো বাঁচবো নতুবা আন্দোলন করে রাজপথে জীবন দেব। তবুও দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ পথ ছাড়বো না।
শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। বর্তমানে নীতিমালা, কমিটিসহ নানা আইন তৈরি করে এমপিওভুক্তি না করে আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা তা মেনে নেব না। কোনো নীতিমলার আওতায় আমাদের আনা যাবে না। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নতুন প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নীতিমালা কার্যকর করার দাবি জানান তারা।
নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভুষণ রায় বলেন, আমরা টানা ১৬ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন পালনে নেমেছি।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিদিন এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। তাদের উপস্থিতিতে আমাদের ন্যায্য দাবির এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। আমরা ক্ষুধার জ্বালায় রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় ছাড়া আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না। তিনি আরও বলেন, রাজপথে খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া আর অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এতে যদি কোনো শিক্ষকের প্রাণ যায় তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।