স্মল ক্যাপ বোর্ডে যাচ্ছে না তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানি
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১১ ১০:১৯:৪৯
তর তর করে প্রতিদিনই বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি বা লো-পেইড আপ কোম্পানি শেয়ারের দর। এই দরকে গতিশীল করতে স্বল্প মূলধনি বোর্ডের খবরকে গুজব হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে কারসাজি চক্র। মতিঝিলপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সংক্রান্ত যে আইন করছে, সেখানে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো স্থান পাবে।
তা না হলে মূল বোর্ডে থাকতে হলে তাদেরকে বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করতে হবে। তবে বিষয়টি এমন হবে না বলে জানিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প মূলধনি কোম্পানি নিয়ে যে আইন করা হচ্ছে, সেখানে শুধু নতুন কোম্পানিগুলোই স্থান পাবে। পুরাতন কোনো কোম্পানির সেখানে স্থান নেই।
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, নতুন আইনটি করা হচ্ছে নতুন কোম্পানির জন্য, পুরাতনদের জন্য নয়। কারণ, পুরাতনরা আগের লিস্টিং আইনে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। একই কথা বলেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, আগের কোম্পানি যে আইনে তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেভাবেই চলবে।ডিএসই সূত্র মতে, বর্তমানে ডিএসইতে প্রায় ৩৩টি কোম্পানি রয়েছে, যাদের পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকার নিচে। দিন যত যাচ্ছে ততই এগুলোর শেয়ার দর বেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে পিই রেশিও বেড়ে এগুলোর শেয়ার দর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানেও চলে এসেছে। পিই রেশিও অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ১৯ কোম্পানির শেয়ার দর মারাত্মক ঝুঁঁকির মধ্যে রয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, স্টাইল ক্রাফট, ইষ্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, লিবরা ইনফিউশন, মডার্ন ডাইং, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, জেমিনি সী ফুড, জুট স্পিনার্স, নর্দার্ন জুট, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, এএমবি ফার্মা, সোনালী আঁশ, ফার্মা এইড, বিডি অটোকার্স, রেকিট বেনকিজার, আজিজ পাইপস, কে অ্যান্ড কিউ, শ্যামপুর সুগার, দেশ গার্মেন্টস, এপেক্স ফুডস, আরামিট, জিল বাংলা সুগার, বঙ্গজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ন্যাশনাল টি, রহিম টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন, ইমাম বাটন, এএমসিএল (প্রাণ), এপেক্স স্পিনিং, ওয়াটা কেমিক্যাল, জিকিউ বলপেন এবং বিডি ল্যাম্পস। এর মধ্যে মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্সের পরিশোধিত মূলধন ৪৬ লাখ টাকা, ইষ্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের পরিশোধিত মূলধন ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, লিবরা ইনফিউশনের পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, মডার্ন ডাইংয়ের পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সাভার রিফ্যাক্টরিজের পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকাG
জেমিনি সী ফুডের পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, জুট স্পিনার্স-এর পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, নর্দার্ন জুটের পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি টাকা, এএমবি ফার্মার পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সোনালী আঁশের পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ফার্মা এইডের পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, বিডি অটোকার্সের পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, রেকিট বেনকিজারের পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আজিজ পাইপসের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, কে অ্যান্ড কিউয়ের পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, শ্যামপুর সুগারের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকা, দেশ গার্মেন্টসের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, এপেক্স ফুডসের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকাG
আরামিট লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা, জিল বাংলা সুগারের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা, বঙ্গজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল টি লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, রহিম টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, দুলামিয়া কটনের পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইমাম বাটনের পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা, এএমসিএল (প্রাণ)-এর পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা, এপেক্স স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ওয়াটা কেমিক্যালসের পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা, জিকিউ বলপেনের পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বিডি ল্যাম্পসের পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।