আত্মসমর্পণের পর সালমা আক্তারকে কারাগারে প্রেরণ
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১৬ ০৮:৫৮:০৭
মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা আক্তার শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইবুন্যালে আত্মসমর্পন করেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুলাই) সালমা আক্তার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এরপর শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ২৪ জুন ট্রাইবুন্যালের বিচারক আকবর আলী শেখ, এই মামলায় মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তারকে ৫০ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি টাকা জরিমানার রায় দেন। একইসঙ্গে কোম্পানি ব্যতিত ৩ আসামীকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন-মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। এরমধ্যে ইমাম মুলকুতুর রহমান মৃত ও অন্য আসামীরা শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের আদেশ দেন বিচারক আকবর আলী শেখ। তবে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেলেও ট্রাইবুন্যাল তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না। যে কারনে ইমাম মুলকুতুর রহমানকেও জেল এবং জরিমানার রায় দেওয়া হয়েছে। তবে রবিবার ট্রাইবুন্যালে তার মারা যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছেন আইনজীবী। একইসঙ্গে সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এ সময় বিচারক বলেন, যেহেতু ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেছেন, তাই আল্লাহই তার বিচার করবেন।
আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিষ্টার ফারহানা রেজা, ব্যারিষ্টার রাবেয়া ভূইয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মেজবাউর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
আসামিদের গ্রেফতার বা তাদের আত্মসমর্পণের দিন থেকে কারাদণ্ডের হিসাব শুরু হবে। এছাড়া আর্থিক জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আসামিদের আরও অতিরিক্ত ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
১৯৯৯ সালে শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপপরিচালক আহমেদ হোসেন মামলা দায়ের করেন। সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশ এর ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলা করা হয়। সিএমএম আদালতের ১৩৬৪/২০০০ নম্বরের মামলাটি ট্রাইবুন্যালে হয়েছে ৩/১৬ নং। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে এই ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২১ জুন শেয়ারবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর পরে মার্ক বাংলাদেশের রায় হল ১১তম। এর আগে ট্রাইব্যুনাল ৯টি মামলার সম্পূর্ণ ও ১টি মামলার আংশিক রায় ঘোষণা করেন।