হাসপাতাল, ক্লিনিকে মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৫ ০৯:২১:০৮


দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রকাশ্য ও জনসমাগম স্থানে (পাবলিক প্লেস) চিকিৎসা-সংক্রান্ত সব ধরনের পরীক্ষা ও সেবার মূল্যতালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ নির্দেশনা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ জারি করেন। আদেশ হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী একটি নীতিমালা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছেন। আদেশ হাতে পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এ নীতিমালা তৈরি ও কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে হবে বলে সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালত সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, সেবা তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না সে বিষয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে সব জেলা সদরের হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না— সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাব মহাপরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উল্লিখিত অধ্যাদেশের বিধানগুলো যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা চেয়ে চলতি মাসেই হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দায়ের করা হয়। হিউম্যান রাইটস ল’ ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। সংগঠনটির সভাপতি ও আইনজীবী বশির আহমেদ আদালতে এ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন।