ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-০৭-২৮ ১০:০১:৩২
স্বদেশ রঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ২০১৮-২০ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একই মেয়াদের জন্য মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও আহমেদ ইউসুফ আব্বাস, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং দেওয়ান ওয়াসিকুল আলম মিল্টন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় সদ্য বিদায়ী সভাপতি কামরুল ইসলাম, এফসিএ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
নবনির্বাচিত কমিটি গতকাল ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় দায়িত্ব গ্রহণ করে।
নবনির্বাচিত সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন সাহা কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে ¯œাতক ও ¯œাতোকত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০১৫-১৬ মেয়াদে লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণরের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি লায়ন্স ক্লাবের বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের জিএমটি এরিয়া লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্যাটকম আইট এবং স্যাটকম কম্পিউটার লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান, আলফা ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ইম্পিরিয়াল এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন এর আজীবন সদস্য এবং ইনস্টিটিউ অব চাটার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ এর ফেলো সদস্য।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানেঅনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি গ্লোবাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন বর্তমান সমাজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং ক্রমবর্ধমান পেশাদার হিসাবরক্ষকের চাহিদা মেটাতে দক্ষতা উন্নয়নের দিকে আরও মনযোগ দেয়ার তাগিদ প্রদান করেন। তিনি বলেন বর্তমানে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নগদ লেনদেন নির্ভরতা থেকে বের হয়ে ক্যাশ বিহীন লেনদেন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই তিনি গতানুগতিক হিসাবরক্ষন শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযুগী, আধুনিক ও প্রয়োজন নির্ভর করে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্বচ্ছ ও বিশ্লেষণাত্মক হিসাবরক্ষন পদ্ধতির প্রয়োজনীতার উপর গুরত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে জ্ঞান নির্ভর অর্থনৈতিক রুপান্তরের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। সেজন্য তিনি হিসাবক্ষন পেশায় জড়িত সরকারী – বেসরকারী খাতের সবাইকে নিয়মিত আলোচনা ও সহযোগীতার মাধ্যমে কাজ করে যেতে আহ্বান জানান।
নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাঁরা হলেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, যুগ্ম সচিব, আব্দুর রাজ্জাক খান রানা, যুগ্ম সচিব, মাহমুদুর রহমান, সাংগঠনিক সচিব, আব্দুল গফুর রানা, প্রকল্প সচিব, মোঃ আল আমিন, সদস্য উন্নয়ন সচিব, ইশতার মহল সীথি, কল্যাণ সচিব, জিএস আশিকুর রহমান, গবেষণা ও উন্নয়ন সচিব, মোঃ সাইফুল ইসলাম, তথ্য প্রযুক্তি সচিব, নাঈমা মেহরিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব, আবুল কালাম আজাদ, ক্রীড়া সচিব, মাশুক হোসেন খান, সংস্কৃতি সচিব, মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, অফিস সচিব। নির্বাহি কমিটির অন্যান্য সাধারণ সদস্যরা হলেন, সৈয়দ রায়হান রশিদ, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, মহিউ্িদ্দন আহমেদ, মাহমুদুল আমিন মাসুদ, আহমেদ হোসেন, অধ্যাপিকা মাহমুদা আক্তার, একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ মাসুদুর রহমান এবং শিশ হায়দার চৌধুরী।