সিলভা ফার্মার ঋণ খেলাপি নিয়ে বিএসইসির ব্যাখ্যা
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-০৭-৩০ ১৬:০১:১২
সম্প্রতি আইপিও অনুমোদন পাওয়া সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালকরা ঋণ খেলাপি এমন অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ কিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্র বলছে, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও চাঁদা গ্রহণ বাতিলের দাবি করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে আইডিএলসি ফাইন্যান্স একটি চিঠি বিএসইসিতে জমা দেয়।
বিএসইসি বলছে, এই চিঠি গত সোমবার বিএসইসিতে জমা দেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স। এর পর দিন মঙ্গলবার চিঠিটি ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগে পাঠানো হয়। চিঠি পাওয়ার পর ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগ সাথে সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে যোগাযোগ করে।
এতে ওই দিনই আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন কমিশনে উপস্থিত হন। এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
তাদের এই চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালের কোন পরিচালক তাদের কোম্পানির কাছে ঋণ খেলাপি নয়। তাদের কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার অন্য প্রতিষ্ঠান আল আমিন বিস্কুটের নামে আইডিএলসি ফাইন্যান্স থেকে ঋণ গ্রহন করেছেন। তাই কোম্পানিটির আইপিও বিধি সম্মতভাবে হয়েছে।
তিনি আল আমিন বিস্কুটের নামে আইডিএলসি ফাইন্যান্স থেকে গ্রহণ করা ঋণ আদায়ের বিষয়ে বিএসইসির সহযোগিতা চান। পাশাপাশি কোম্পানিটির জমা দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার করে একটি অনুরোধপত্র কমিশনে জমা দেবেন বলে জানান তিনি।
বিএসইসি আরও বলছে, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনপূর্বক যথাযথভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই ঋণ খেলাপি নিয়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয় বলে মনে করছে বিএসইসি।
এর আগে অভিযোগ ওঠে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও অনুমোদন যথাযথ হয়নি।
কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গতকাল ২৯ জুলাই রোববার থেকে শুরু হয়েছে। এই চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। গত ১১ জুন বিএসইসির ৬৪৭তম কমিশন সভায় সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, কারখানার ভবন নির্মান, ঋণ পরিশোধ এবং গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬ টাকা ৪৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা শূন্য ৩ পয়সা।
উল্লেখ, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।