তরিকুলের মরদেহে বিএনপির শেষ শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১১-০৫ ১১:১২:২৮


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ১০ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহম্মদ আজম খান, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
এছাড়া ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারও জনাজায় অংশ নেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তরিকুল ইসলাম আমাদের মাঝে থেকে চলে গিয়ে আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ও দলের কঠিন সময়ে তিনি চলে গেছেন। তার এই চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি।
তরিকুলের প্রতি স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তরিকুল ইসলাম দল ও দেশের কাজ করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য সংগ্রাম করেছেন। অন্যায়ের সাথে কখনো তিনি আপস করেননি। ফলে দল হারালো উচ্চ মানের প্রজ্ঞাবান একজন নেতাকে। আর জাতি হারালো একজন জাতীয় নেতাকে।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে লাশবাহী গাড়ীতে তরিকুল ইসলামের মরদেহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। জানাজা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনগুলো ফুল দিয়ে দলীয় পতাকায় মোড়ানো তরিকুল ইসলামের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।
রোববার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তরিকুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় মরদেহ।
এদিকে বরেণ্য এই রাজনীতিকের ‍মৃত্যুতে আজ শোক পালন করছে বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী বিএনপির অফিসে দলীয় ও কালো পতাকা তোলা হয়েছে এবং নেতা-কর্মীদেরকে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা গেছে।
এর আগে রোববার রাতে শান্তিনগর মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টায় যশোর ঈদগাঁ মাঠে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে।