মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেলেন তাইজুল

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৫ ১৫:১৩:৫৫


প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার পরই তার সামনে মাইলফলকটা হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। যদিও তাইজুল ইসলামের অসাধারণ বোলিং ঢাকা পড়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ছাদরে। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই তাইজুল সমান বিধ্বংসী। নিজের কৃতিত্বকে আরও ছড়িয়ে দিতেই যেন বদ্ধপরিকর।
সে কারণেই হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি চড়াও হয়েছেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের ওপর। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে মিলে মেতেছেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায়। যদিও এই প্রতিযোগিতায় তিনি পেছনে ফেলেছেন মিরাজকে। এখনও পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের আউট হওয়া ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চারজনকেই ফিরিয়েছেন তিনি। যদিও দারুণ একটি হ্যাটট্রিক মিস করেছেন তাইজুল।
সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তাইজুল। তার আগে টেস্টে ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন কেবল তিন টাইগার ক্রিকেটার। তারা হলেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান এবং এনামুল হক জুনিয়র। এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়া চার বোলারের সবাই হলেন স্পিনার।
এনামুল হক জুনিয়র ২০০৫ সালে, সাকিব আল হাসান ২০১৪ ও ২০১৭ সালে দু’বার এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ২০১৬ সালে নিয়েছিলেন ১০টি কিংবা তার বেশি উইকেট। এ তিনজনের পর চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এক ম্যাচে দশ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন তাইজুল।
সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজাকেও ছাড়িয়ে গেলেন তাইজুল ইসলাম। মাশরাফিকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলেন তিনি।
মাশরাফি তার ক্যারিয়ারে ৩৬ টেস্ট খেলে নিয়েছেন মোট ৭৮টি উইকেট। ২০তম টেস্ট খেলা তাইজুলের উইকেট সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৭৯টি। ৭৮ উইকেট পেতে মাশরাফি যেখানে বোলিং করেছেন ৫১ ইনিংসে। সেখানে এখনো পর্যন্ত তাইজুলকে ৭৯ উইকেট নিতে বোলিং করতে হয়েছে মাত্র ৩৬টি ইনিংসে।
জিম্বাবুয়ের এখনও চার উইকেট রয়েছে বাকি। এখান থেকে তাইজুল কয়টি নিতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়। এক ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের সর্বোচ্চ ১২ উইকেটের রেকর্ড ভাঙার জন্য অবশ্য তাইজুলের প্রয়োজন এখনও ৩ উইকেট।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকা
১. সাকিব আল হাসান – ১৯৬ উইকেট
২. মোহাম্মদ রফিক – ১০০ উইকেট
৩.তাইজুল ইসলাম – ৭৯ উইকেট*
৪. মাশরাফি বিন মর্তুজা – ৭৮ উইকেট
৫. শাহাদাত হোসেন রাজীব – ৭২ উইকেট