প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং

প্রকাশ: ২০১৫-১১-০৪ ১০:১৮:১৪


Spinning_Mill_Mozafforপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস ‘রিং প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের জন্য আইডিবি ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে।  এ প্রজেক্টের জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ সুবিধা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অনুমোদিত ইসলামিক কর্পোরেশন ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর (আইসিডি) থেকে এ ঋণ নিবে। আর এ জন্য কাজ করবে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে সব কিছু নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিটি এ ঋণ নিবে।

সূত্র মতে, এর আগে কোম্পানিটি নতুন দুটি রোটর মেশিন স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে কোম্পনিটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে প্রায় ৩০ শতাংশ। দুটি রোটর মেশিন স্থাপনের জন্য কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪০ টাকা।

এদিকে দীর্ঘমেয়াদে মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঋণমান ‘ট্রিপল বি’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এআর-৪’। এর অর্থ ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় মাঝারী মানের কোম্পানি এটি। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, অর্ধবার্ষিক অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য উপাত্তের ভিত্তিতে এ ঋণমান নির্ধারণ করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ একটি প্রিন্টিং প্রকল্প কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য কোম্পানিটিকে ৯ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। নতুন প্রকল্পে তাদের বিক্রি বাড়াবে ২০ কোটি টাকা। ফলে কোম্পানিটির মুনাফা প্রায় ৮ কোটি টাকা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ আর বাকী ১৫ শতাংশ বোনাস। নগদ ৫ শতাংশ শুধু শেয়ারহোল্ডারা পাবে। এ লভ্যাংশ কোনো পরিচালক নিবেন না।

কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২টাকা ২৫ পয়সা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৪ পয়সা।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। রিজার্ভ ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার ৭ কোটি ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০; যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৬০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে এর মূল্য-আয় অনুপাত ১৫ দশমিক শূন্য ৪।

‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।