ভুল থাকলেও আ. লীগ নেতাদের মনোনয়নপত্র বৈধ: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০৩ ১৩:৩৯:৫২
স্বাক্ষর ও তথ্যে ভুল থাকার পরও আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টার্গেট করেই বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের অাজ্ঞাবহ। সরকারের নির্দেশেই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
‘‘টার্গেট করে ৫০ জনের মতো দলের হেভিওয়েট নেতা ও সাবেক এমপি’দের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না করা সত্ত্বেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে টিপসই দেয়া হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অচেতন হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
‘‘কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তার স্বাক্ষর কিংবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ এ্যাম্বেসি’র একজন ফার্ষ্ট সেক্রেটারী কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে, যার মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণীর একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের সমমানের। এ ধরনের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র। তার মনোনয়নপত্র নোটারী করা হয়েছে বাংলাদেশে, যা আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কিভাবে?”
এছাড়াও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য দাখিল না করলেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এটি নিউজ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক দন্ডিত নেতারও মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে।
‘‘রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে বগুড়া’র ডিসি কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাতিল করার মাধ্যমে বেগম জিয়া আরও একটি আক্রোশের শিকার হলেন শেখ হাসিনার। বিনা অজুহাতেই বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের কক্ষ সংলগ্ন ‘ছোট রুম’টিই এখন টক অব দি কান্ট্রি।’’
এসময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পেতে অাপিল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তারপর দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারছি যে, ভোটের দিন ইন্টারনেট থ্রি-জি, ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হবে। আজ থেকে মনিটরিং করা হবে ফেসবুকসহ সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
‘‘সরকারের সমালোচনা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিব। তবুও এদেশের অধিকারহারা জনগণ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ‘শিকল ভাঙ্গা পণ’ নিয়ে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার নির্বাচনী প্রতিযোগিতার যুদ্ধে এগিয়ে যাবে।’’