শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, টিসির বিষয়টি অধ্যক্ষের অস্বীকার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০৪ ১১:৪৪:৩০
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্কুল থেকে ওই ছাত্রীকে টিসি দেবার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস।
এদিকে, শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল বাবাকে ঢেকে অপমান করায় নবম শ্রেণির অরিত্রি অধিকারী নামে এক শিক্ষার্থী সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নিহতের বাবার নাম দিলীপ অধিকারী। তার বাসা রাজধানীর শান্তিনগরে। নিহত ছাত্রী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ‘ক’ শাখার ছাত্রী। তার রোল নম্বর ১২।
পারিবারিক ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, স্কুলে সাথে মোবাইল রাখার কারণে শিক্ষক পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে অরিত্রিকে জানায়। পরে তার বাবা ও মাকে সাথে নিয়ে প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে অরিত্রি অধিকারী। সেখানে অরিত্রির বাবা-মাকে অপমান করেন প্রিন্সিপালসহ পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য।
এমনকি তারা মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলেন। অপমান সইতে না পেরে বাবা দিলীপ অধিকারী কান্না করেন। এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে দিলীপ অধিকারী ও স্ত্রী বাড়ি গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।
অরিত্রিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন তারা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।অরিত্রির গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। সে পরিবারের দুই বোনের মধ্যে বড়।