সত্যিকারের পুঁজিবাজার তৈরি করেছে বর্তমান কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-০৫ ০৯:৪২:৩৯


২০১০ সালে পুঁজিবাজারের ধসের পর গঠিত বর্তমান কমিশন একটি সত্যিকারের পুঁজিবাজার তৈরি করেছে বলে মনে করেনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এই কমিশনের সময়ে পুঁজিবাজার ভালো হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পরে বিএসইসি পুনঃগঠন করা হয়। যে কমিশনের কয়েক বছর কেটেছে সংস্কারের মধ্যে। এর মাধ্যমে কমিশন পুঁজিবাজারের ভিত্তি মজবুত করেছে। আর এখন পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিশন দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রাখছে। যে কারণে বর্তমান কমিশনের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিএসইসির বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষ করে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) কাজ ভালোভাবে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে দুই বার ধস হয়েছে। যার প্রতিবারই হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যা এই সরকারের জন্য সুখকর ছিল না। বরং কলঙ্কজনক হচ্ছিল। যা রোধে বিএসইসির কমিশনকে নতুন করে সাজানো হয়। এবং ওই কমিশন ভালোভাবেই সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। আর পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিএসইসি এর ভূমিকার কারণে সত্যিকার পুঁজিবাজার গড়ে উঠেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘হ্যাঁ আমি অবসরে যাচ্ছি, কিন্তু অবসর মানেই বিদায় না। রেগুলার রুটিন মাফিক কাজ হয়তো থাকবে না। তবে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আজরাইল না আসা পর্যন্ত আমাকে বিদায় করা যাবে না।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এবারও দারিদ্র্য বিমোচন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আপনারা বিষয়টি দেখতে পাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মুহিত বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়ন করেছি তার মূলে রয়েছে নেতৃত্বের গুণ। আমাদের নেত্রী শুধু আমাদের নেতা নন তিনি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে আছেন।’

দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার এখন স্থিতিশীল এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অর্থমন্ত্রীর। তার নির্দেশনায় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে।

২০১৯ সাল পুঁজিবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তাই তিনি পুঁজিবাজারে সবাইকে আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন।

পুঁজিবাজারের আইনগত ভিত্তি ও কাঠামো তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তার মতে এরমাধ্যমে শেয়ারবাজারের ভিত্তি মজবুত হয়েছে। এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্মল ক্যাপ মার্কেট ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট হাউজ গঠন করা হচ্ছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আশাদুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।