সাতক্ষীরার দেবহাটায় পেশাজিবীদের প্রতিবাদ সভা

প্রকাশ: ২০১৫-১১-০৫ ২০:১৮:০২


DSCN1888“আমলাতন্ত্র নিপাত যাক, পেশাজিবী জাগরে জাগ” এমন আন্দোলনের প্রতিবাদে দেবহাটায় সরকারী ক্যাডার-ননক্যাডার পেশাজিবীদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সারাদেশের সাথে সংগতি রেখে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় ১২.৩০ থেকে ১.৩০ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী কর্ম বিরতি রেখে উপজেলা চত্বরে প্রকৃচি বিসিএস ২৬ ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস সমন্বয় কমিটির প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।

উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বেতন ভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম অনুসরণ করবে, বেতনস্কেল সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব থেকে সচিব/সিনিয়র সচিব পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তার পদায়নের মাধ্যমে কৃত্য পেশা ভিত্তিক গনপ্রশাসন গড়ে তুলতে হবে, অন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বহির্ভূত সকল ধরণের প্রেষণ বাতিল ও পদোন্নতীর সমান সুযোগ প্রদান সহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমূল হুদা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শেখ আকছেদুর রহমান, আর.এ.ও মেহেদী হাসান বিপ্লব, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মাহমুদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শ্বাশ্বতী ছন্দা দেবনাথ, সমাজসেবা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহমুদ মোর্শেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন, বিআরডিপি কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, সমবায় কর্মকর্তা জহরুল হক, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিএম আব্দুল কুদ্দুস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলাম সহ বিসিএস ২৬ ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস সমন্বয় কমিটি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন বর্তমান সরকারের সুযোগ্য নের্তৃত্বে জনমুখী পদক্ষেপের ফলে জাতীয় ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে যুগান্তরী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত উন্নয়ন, শিক্ষা গবেষনা, বিদ্যুৎ, তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ, অবকাঠামো, আইন শৃঙ্খলা সহ সর্ব ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক এবং বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের সমন্বয়ে গঠিত প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি ভুক্ত কর্মকর্তাগণ সরকারের লক্ষ অর্জনে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বেতনস্কেল থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেওয়া এবং উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করার নামে উপজেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাকে অসম্মানিত করে ইউএনওকে একক কর্তৃত্ব প্রদানের মত সার্কুলার জারি উন্নয়নের বাধাগ্রস্থ করবে।

উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, প্রকৌশল, নির্বাহী কর্মকর্তার তুলনায় সিনিয়র। জুনিয়র কর্মকর্তাকে দিয়ে সিনিয়ির কর্মকর্তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্মানজনক ও রীতির পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন। তাছাড়া নতুন বেতনস্কেলে কর্মকর্তাদের ভিতরে ব্যপক বৈষম্যের সৃষ্টি হবে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করার নামে জারিকৃত সার্কুলারের মাধ্যমে সেলফড্রায়িং অফিসারদের মর্যাদা করা হচ্ছে। এতে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত হতে পারে বলে মনে করেন পেশাজিবীরা।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ/মামুন