পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলের পরিচালকদের নোটিস বিপিসির

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-২২ ১২:৩৪:৪৮


অননুমোদিত উৎস থেকে তেল বিক্রির অভিযোগে ২০১৬ সালে দেশের চারটি ফিলিং স্টেশনের ডিলারশিপ বাতিল ও তেল বিক্রয় কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সেই সঙ্গে এসব ফিলিং স্টেশনে পদ্মা অয়েল, মেঘনা অয়েল ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের তেল সরবরাহে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও পুনরায় অনুমতি না নিয়েই ওই চারটি ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে তেল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিপিসির তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বিপিসি।

বিপিসি সূত্র অনুযায়ী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিলের এক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অননুমোদিত উৎস থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে বিক্রির দায়ে মেঘনা অয়েলের সরবরাহ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত পাবনার কাশীনাথপুরের মেসার্স রতন ফিলিং স্টেশন ও নওগাঁ সদরের নওহাট্টা মোড়ের মেসার্স হক ফিলিং স্টেশন, যমুনা অয়েলের আওতাধীন দিনাজপুরের উপশহর এলাকার মেসার্স লুত্ফা এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশন ও পদ্মা অয়েলের আওতাধীন পাবনার ঈশ্বরদীর মেসার্স মনসুর ফিলিং স্টেশনের বিক্রয় কার্যক্রম ও ডিলারশিপ বাতিলের নির্দেশনা দেয় বিপিসি।

তবে এ নির্দেশনা অমান্য করেই ফিলিং স্টেশনগুলো তেল বিক্রি অব্যাহত রাখে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলও বিপিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের কাছে তেল বিক্রি করছে। বিপিসির পৃথক অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিপিসি তেল বিপণনকারী তিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। বিপিসির পরিচালক (বিপণন) মো. সরওয়ার আলম স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চিঠিগুলোয় বিপিসি জানিয়েছে, উল্লিখিত তিনটি প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত মনিটরিং না করে ফিলিং স্টেশনগুলোর অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সহায়তা করেছে এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৮৯-এর ‘সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা’ বিধির ৩৪-এর ‘খ’ ধারা ভঙ্গ করেছে। এ কারণে ৩৫-এর ‘ক’ বিধি অনুযায়ী কেন ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হবে না, সে বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে বিপিসির চেয়ারম্যান বরাবর কারণ দর্শাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন আনসারী বলেন, আমি যমুনা অয়েলে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি বেশি দিন হয়নি। তবে বিপিসির চিঠি পাওয়ার পর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। বিপিসির বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই যমুনা অয়েলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে।