ফারুকের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-২৫ ১১:৪৩:৩৬
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থী।
ঋণখেলাপি হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের আইনজীবী সাজেদ শামীম।
সোমবার হাইকোর্টর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে আদালত আগামীকাল বুধবার শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন। ওইদিন রিট আবেদনটি কার্যতালিকতার শীর্ষে রয়েছে।
রিট আবেদনে ফারুকের মনোনয়ন স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ এবং আইনজীবী সাজেদ শামীম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহোর হোসেন সাজু।
এ বিষয়ে আন্দালিভ রহমান পার্থ জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঋণখেলাপি। তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এটা কিভাবে সম্ভব? যেখানে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো ঋণখেলাপি হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকায় নাম থাকলে তার মনোনয়ন বাতিল হবে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ প্রার্থীর কোনও হলফনামা নেই। এটা গায়েব করলো কে?
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রাজধানীর মতিঝিলের স্থানীয় শাখা থেকে তিন প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার একক ঋণ হিসাবে সোনালী ব্যাংকের ৩৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়নি। হলফনামার ঘরে একক ঋণের বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এ সংক্রান্ত কলামে তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন।