প্রায় বিলুপ্ত সাইবার ক্যাফে ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-২৬ ১৭:১২:৩৭


দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত সাইবার ক্যাফে, এক সময়ের সাইবার ক্যাফে জনপ্রিয় হলেও গত ৫ বছর ধরে মন্দা যাচ্ছে সাইবার ক্যাফের ব্যবসায়। এ সময় শুধু রাজধানীতেই বন্ধ হয়ে গেছে ৮০০ সাইবার ক্যাফে। মূলত মোবাইল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে কমে গেছে কর্মসংস্থানও। এখন ক্যাফের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে এসব ক্যাফে। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন

সাইবার ক্যাফে ওনার্স এসোসিয়েশন-সিসিওএবি’র তথ্য মতে, ২০১৪ সালে রাজধানীতে সাইবার ক্যাফের সংখ্যা ছিলো ১০০০। ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫০০ তে। আর বর্তমানে এ সংখ্যা ২০০ তে নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের চেয়ে এ ব্যবসার খরচ দ্বিগুণ বাড়লেও, কমেছে গ্রাহক সংখ্যা। গত ৫ বছর আগে গলির মোড়ে মোড়েই ছিলো একটি দুটো করে সাইবার ক্যাফে। ইন্টারনেট ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট কাজে সাইবার ক্যাফেতে ঢুঁ মারত সবাই। কিন্তু এখন এ চিত্র অনেক পাল্টে গেছে। ঘরে ঘরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আর হাতের মুঠোয় মোবাইল ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়ায় ক্যাফের প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।

সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয় মিলিয়ে, আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি খরচ হয়। তার সাথে আগে যে পরিমাণে গ্রাহক ছিলো এখন তার চেয়ে অনেক কম। এখন মোবাইল ফোনে সব সুবিধা পাওয়া গেলেও প্রিন্ট, স্ক্যান, অনলাইনে ভর্তির আবেদনসহ বিভিন্ন কাজে এখনো এসব ক্যাফেতে আসেন অনেকে।

গ্রাহকদের অনেকে বলছেন, বাসায় ইন্টারনেট থাকায়, সাইবার ক্যাফের সুবিধা অনেকটা ঘরে বসেই পাওয়া যায়। তাই সাইবার ক্যাফে আসা প্রয়োজন হয় না।

সাইবার ক্যাফে ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জুলফিকার হায়দার বলেন, সাইবার ক্যাফে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকল্প উপায় বের করার চেষ্টা করছি। এজন্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চলছে কর্মশালার পরকিল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার পর সাইবার ক্যাফে ব্যবসার প্রসার ঘটে। প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছিল এই সাইবার ক্যাফে গুলোতে।