গাঁজা বৈধ হলো থাইল্যান্ডে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-১২-২৬ ১৭:২৯:১১


চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার৷ গাঁজা সেখানে আপাতত গবেষণায় এবং ঔষধ বানানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে। তবে ভবিষ্যতে গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিষয়টি ভবিষ্যতে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের সংসদে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড মেডিকেল চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা বৈধ করল।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা ছিল একটি প্রচলিত রীতি৷ পরে ১৯৩৫ সালে গাঁজা সেবন, পরিবহন কিংবা বাজারজাতকরণ বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল৷

থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রজিন জুন্টং সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় আইন পরিষদের পক্ষ থেকে এটি থাইল্যান্ড সরকার ও তার জনগণের জন্য নববর্ষের উপহার। আগামী বছর আইনটি বাস্তবায়নের পর গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে সরকার৷

আর চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে অনেক দেশই। দক্ষিণ কোরিয়াও চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে, তবে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত।

চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার চাষকে বৈধতা দেয়া প্রথম আফ্রিকান দেশ লেসোথো। অর্থনীতিকে সহায়তা করতে চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়ে চিন্তা করছে লেবানন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধতা পেলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী বিনোদনমূলক ব্যবহার অবৈধই থাকবে।

দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই গাঁজা ব্যবহারকে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ মনে করে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে গাঁজা সেবন বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় গাঁজা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকলে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।