সাতদিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অচল সুদান-তিউনিশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১২-২৭ ১৮:০২:০৭


আফ্রিকা আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে । মহাদেশটির সুদান ও তিউনিশিয়ায় চলছে বড় আকারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। রুটি ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাতদিন ধরে চলছে সুদানে বিক্ষোভ।

অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, দারিদ্র্য আর সরকারি কর্মকর্তাদের লাগামহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছে তিউনিশিয়ার অধিবাসীরা। সোমবার দেশটির প্রাদেশিক শহর কাসেরিনে সাংবাদিক আবদেরাজ্জাক জোরগুই আত্মাহুতি দেন।

মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে উত্তর আফ্রিকার দেশটির নাগরিকরা। তবে এ দুই দেশেই সরকারের বিরুদ্ধে এই নাগরিকদের এ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করছে পুলিশ। ২০১১ সালে এই তিউনিশিয়া থেকেই শুরু হয়েছিল ‘আরব বসন্ত’।

যার সূচনা হয়েছিল মোহাম্মদ বুয়াজিজি নামের এক তরুণ সবজি বিক্রেতার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহুতির মধ্য দিয়ে। খবর সিএনএন ও আলজাজিরার। রুটি ও জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নিলে সুদানে রুটির মূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নেই। ব্যাংকে টাকার সরবরাহ নেই।

জীবনধারণের মৌলিক জিনিসগুলোর অভাবে না খেয়ে মরার দশা সাধারণ সুদানিদের। তারই জেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে মানুষ। ১৯ ডিসেম্বর আতবারা নামের একটিমাত্র শহরে বিক্ষোভ শুরু হলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে রাজধানী খার্তুমসহ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। খার্তুম এখন কার্যত ‘বিক্ষোভের নগরী’তে পরিণত হয়েছে।

বিক্ষোভ এখন আর রুটির দাবিতে সীমাবদ্ধ নেই। ক্রমেই তা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের পদত্যাগের দাবিতে জোরাল হচ্ছে। মঙ্গলবার খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে নীল নদের তীরে অবস্থিত বশিরের প্রাসাদ অভিমুখে মিছিল নিয়ে যায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।

ন্যায় দাবি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে পুলিশ। ফলে জায়গায় নিহত হয়েছে ৭ বিক্ষোভকারী।