রাবিতে শিক্ষার্থীকে পিটালো ছাত্রলীগ কর্মীরা

প্রকাশ: ২০১৫-১১-০৯ ১৯:৫০:১০


527cd01c8eabb-Rajshahi-Universityতুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে পিটিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ( রাবি ) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বায়েজীদ নামের এক ছাত্রলীগকর্মী। সোমবার ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সোহাগ রানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একজন ভর্তিচ্ছুকে নিয়ে টুকিটাকি চত্বরে বসে নাস্তা করছিলেন সোহাগ রানা। এসময় পানি দেওয়া নিয়ে খাবার দোকানের এক কর্মচারির সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন সোহাগ। এতে পাশেই বসা শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বায়েজিদ এবং লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী জিম সোহাগকে উচ্চস্বরে কথা বলার কারণ জানতে চায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের ওই কর্মীসহ কয়েকজন মিলে সোহাগকে মারধর করে। ছাত্রলীগ কর্মীদের কিল-ঘুষিতে সোহাগের মাথা, মুখ ও চোখে গুরুতর জখম হয়। পরে পাশেই থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা এসে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। পরে সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার পর অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে রামেকে ভর্তি করা হয়।

আহত শিক্ষর্থীর সঙ্গে থাকা দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শরিফুল জাহিদ বলেন,‘সোহাগের চোখে গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে রামেকে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা।’ সোহাগের শরীরে বেশ কয়েকটি স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর মারধরের বিষয়টি দেখার সাথে সাথে আমি তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। কি কারণে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে তা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনও জানতে পারিনি।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ