সুদ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ‘ডাকাতি’করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৪-১২ ১০:১৯:১৯


দেশের বিভিন্ন ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের সুদের পার্থক্য ৫ শতাংশের বেশি হওয়াকে ‘ডাকাতি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন,যে টাকা তারা সুদ দেয় জনগণকে এবং যে টাকা তারা সুদ নেয় এই ডিফারেন্সটা পৃথিবীর কোথাও ২ শতাংশ বা ৩ শতাংশের বেশি না। বাংলাদেশেই একমাত্র যেখানে ৫ শতাংশের ওপরে। এটা রীতিমতো ডাকাতি।

রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহম্মদ একরামূল্লাহ।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি বলেন,সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ব্যাংকগুলো তা মানছে না।

তিনি বলেন, মানুষের ডিপোজিটের এগেইনেস্টে কত টাকা তারা পে করছে, আর কত টাকা তারা নিচ্ছে, এটা একটা সিস্টেমে আনার দরকার। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার নির্দেশনা দিচ্ছেন, সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হোক। সুদের হার কমলে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হলে তাতে সাধারণ মানুষই উপকৃত হবে।

যে কোন পণ্য কেনার আগে মানুষকে সচেতন করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমি যা কিনছি, সেই বিষয়ে আমার জানতে হবে, আমি যা কিনছি সেই পণ্যের দাম কত এবং তা মেনটেইন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসার দিকে যেমন লক্ষ্য রাখতে হবে, তেমনি ভোক্তাদের অধিকারও সংরক্ষণ করতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ভোক্তা অধিকারের বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হলে সচেতনতা বাড়বে। এতে জাতি উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীরা ছাত্রজীবন থেকেই ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জানতে পারবে। বাস্তব জীবনে এসে তা কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা চালানো হবে। মন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে প্রতারিত না হন, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ব্যাংকে যারা টাকা জমা করে, তারা সুফল পাচ্ছে না। আবার ব্যাংকগুলো বেশি হারে ভোক্তাদের কাছ থেকে সুদ আদায় করে। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।