পতাকার মর্যাদা যেন সমুন্নত থাকে
আপডেট: ২০১৫-১১-১২ ১৫:৫৭:১৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় পতাকার মর্যাদা যেন কখনো ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পতাকার মর্যাদা যেন সব সময় শক্ত ও সমুন্নত থাকে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহীদ বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী আয়োজিত ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক দিনের সরকারি সফরে হেলিকপ্টারে বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত সাত বছরে এটিই তার প্রথম বগুড়া সফর।
এছাড়াও বেলা আড়াইটায় তিনি স্থানীয় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। জনসভা শেষে বিকেল সোয়া ৪টায় তিনি ঢাকার উদ্দেশে বগুড়া ত্যাগ করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে বগুড়া শহরকে। বিশেষ করে মাঝিড়া সেনানিবাস থেকে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ পর্যন্ত সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের রাস্তাকে সর্বোচ্চ নিরাপদ রাখতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বগুড়া সেনানিবাস থেকে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ পর্যন্ত মহাসড়ক ও সড়কের দুধারের সব ভাসমান দোকানপাট তুলে দেয়া হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের সব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শহরের বনানী হতে সাতমাথা হয়ে থানার মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের সব দোকনপাট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সার্কিট হাউজ ও এর আশপাশে, বিশেষ করে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় অবস্থিত সবধরনের ভাসমান দোকান-পাট তুলে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে জিলাস্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বৃহস্পতিবারের জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নেয়া হয়েছে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন কোচিং সেন্টার বুধবার থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জলেশ্বরীতলা এলাকার সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো মাঠ তল্লাশি করেছেন।
আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠের চারপাশে বসবাসকারীরা জানিয়েছেন, জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বাসায় যেন কোনো আত্মীয় স্বজন না আসে সে ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে বাসার ছাদে এবং বেলকোনিতে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাসার ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন মসজিদে শুধুমাত্র আশপাশের মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে স্থাপিত ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে নবনির্মিত ১০ তলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বগুড়া মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া, কুন্দরহাট হাইওয়ে পুলিশ আউটপোস্ট, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জের আলিয়ারহাটে অবস্থিত বগুড়া এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বগুড়া কাহালু, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর নির্মাণ, নন্দীগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর নির্মাণ কাজ উল্লেখযোগ্য।