রোহিঙ্গাদের জন্য ১৬৫ মিলিয়ন ডলার দিল বিশ্বব্যাংক

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৫-০৯ ১২:০২:০৭


মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি পরিসেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষায় বিশ্বব্যাংক ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ খরচ করা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি অনুদান চুক্তি সই হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চ্যান।

ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়। এরপরেও ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় পর্যায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এজন্য রোহিঙ্গা সমস্যার একটি চিরস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানাই।’

ড্যান ড্যান চ্যান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দুই বছর আগে সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ আসে। রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় স্থানচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর (এফডিআরপি) মৌলিক পরিসেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচলিত দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, রাস্তা নির্মাণ, সড়কবাতি ও বর্জ্য-নিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং সরকারের দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। সূত্র: বাসস।