বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন খাতে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০৬-০১ ১৮:০৮:১২
আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত খাতে কমপক্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এই অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে-জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) গঠন ও ২০০৯ -২০১০ অর্থবছর হতে জাতীয় বাজেট থেকে বাংলাদেশ সরকার এই তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। যা ‘প্যারিস চুক্তি’ স্বাক্ষরকারী উন্নত দেশসমূহ হতে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘বিসিসিটিএফ গঠনের পর এই তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি। বরং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক গঠিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদার বিপরীতে অর্থের যোগান কমে যাওয়ার এই চিত্র উদ্বেগজনক। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) এর তহবিলের ঘাটতি পূরণে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে কমপক্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ড. জামান বলেন, “একইসাথে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জলবায়ু খাতে অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই সরকার আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০২০ এ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে কমপক্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি জনগণের পক্ষে বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার নিশ্চিতে জাতীয় বাজেটে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা থাকবে বলে প্রত্যাশা করছে টিআইবি।