রফতানি আয়ে ধারাবাহিক উন্নতি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-১০ ১৯:৪৯:২৩


রফতানি আয়ে ধারাবাহিক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ । চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩৭৭৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে।যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।

আজ সোমবার (১০ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন এমন তথ্য উঠে আসে।

রফতানিকারকদের প্রত্যাশা, বছরের পরবর্তী মাসগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আর ইতিবাচক এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এ সময়ে আয় হয়েছে তিন হাজার ৭৭৫ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার । একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সমেয়ের তুলনায় রফতানি এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসে রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মে মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। যা লক্ষ্য ছিল ৩৪৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মে মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত বছরের মে মাসে এ আয় হয়েছিল ৩৩২ কোটি ডলার। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান ৮৪ শতাংশের বেশি। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৯ শতাংশেরও বেশি হবে।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বড় খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় কৃষিপণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৮৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ।

অন্যদিকে আলোচিত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। একই সঙ্গে অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। পাট ও পাটজাত খাত থেকে মে মাস শেষে রফতানি আয় এসেছে ৭৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ৭ দশমকি ৪৯ শতাংশ কমেছে।

 

সানবিডি / এমএফইউ