পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারী টানতে সহজ করলো বাজেটে: ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৩ ২০:০৭:৩৮


আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমন্বয় হয়েছে বলে মনে করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানানো হয়েছে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম বাজেট এটি। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে “সমৃদ্ধ আগামীর পথযাএায় বাংলাদেশ সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের” শিরোনামে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।  দেশের অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি, শিল্পন্নোয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের বাজেট এটি। সরকারের অঙ্গীকারে সুদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে লক্ষ্য রেখে প্রণয়ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ধন্যবাদ জানাচ্ছে।

একই সাথে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথম বারের মতো জাতীয় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করায় ডিএসই আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারের সু-শাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অভিনন্দন জানাচ্ছে ৷

নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন৷

উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা সমূহের মধ্যে-

* স্টক ডিভিডেন্ড এর পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডিন্ড প্রদান করলে সংশিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্ডের উপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

* কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

* পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব।

* নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব।

* পুঁজিবাজারে কোন রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোন আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্মীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করার প্রস্তাব।

পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নতুন অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে যে, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সমস্ত প্রস্তাবাদি রাখা হয়েছে এতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে৷ বেসরকারী খাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে৷