এক বীর মুক্তিযোদ্ধার আকুতি

আপডেট: ২০১৫-০৯-২৩ ১৯:০৯:০৭


Alor

গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রোজ – শনিবার “আলোর সন্ধানে” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় টিম গিয়েছিল শরিয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । টিমের মূল উদ্দেশ্য ছিল, বারখুটিয়া গ্রামের শিক্ষাথীদের মাঝে শিক্ষাবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিলি – বন্টন করা ।সেখান বারখুটিয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ।

বিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমানে শিক্ষাথী সংখ্যা ১২৫-১৩০জন। বিদ্যালয়টিতে মাত্র একটি টিনের ঘর আছে ।  ১ জন শিক্ষক আর ৩ জন শিক্ষিকা রয়েছেন শিক্ষাদানের জন্য।উক্ত এলাকায় কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, নেই বিদ্যুত ব্যবস্থাও ।

আর যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।আলোর সন্ধানে টিমকে ৩ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে যেতে হয়েছে তাও আবার কর্দমাক্ত রাস্তায় । বারখুটিয়া গ্রামের একজন বৃদ্ধ লোক টিমের সাথে কথা বলেন, তার নাম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। তিনি ১৯৭১ সালে দেশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন । কিন্তু আজ আর তার খবর কেউ রাখে না।

তিনি আলোর সন্ধানের সাথে কথা বলে বার বার তার গ্রামের বিদ্যালয়টার জন্য কিছু করার
কথা বলেছেন। তিনি টিমের কাছে তার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া প্রকাশ করেন নি। তার জীবনের সন্ধিক্ষণে একটাই চাওয়া, যেনো তিনি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি দেখে যেতে পারেন।

আলোর সন্ধানে টিমের প্রত্যাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের জীবনের শেষ ইচ্ছাকে যেন সম্মান দেখানো হয়।  তার ইচ্ছানুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণ করা হয় এবং সেখানে বিদ্যুত, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। “আলোর সন্ধানে “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যগণ একটি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখেন।