ট্যানারি বর্জে পোল্ট্রি ও মাছের বিষাক্ত খাবার তৈরি: ১০ জনের দুই বছর জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৯ ১০:৫০:১২


চামড়া শিল্পের (ট্যানারি) বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি (হাঁস-মুরগি) ও মাছের বিষাক্ত খাবার তৈরির অপরাধে হাজারীবাগে ১০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ছয়টি কারখানা সিলগালা করে তাদের মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৮০০ টন বিষাক্ত পোল্ট্রি ও ফিস ফিড জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। র‍্যাব-২, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চলে এই অভিযান। অভিযানে হাজারীবাগের ৭-৮টি কারখানায় হানা দেয় র‍্যাব।

সারওয়ার আলম বলেন, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরি করার প্রমাণ পাওয়ায় ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় ছয়টি কারখানা সিলগালা করে তাদের মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে মোট ২৮০০ টন বিষাক্ত পোল্ট্রি ও ফিস ফিড জব্দ করা হয়, যেগুলো ধ্বংস করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চামড়ার বর্জ্যে ক্রোমিয়ামসহ ভারী ধাতু বিষাক্ত মাত্রায় বিদ্যমান। যে কারণে এসব ব্যবহৃত পোল্ট্রি খাবার খুবই ক্ষতিকর। তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। হতে পারে ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক ব্যাধি।

এর আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরির সকল কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও যারা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বিবাদী পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়।