এগিয়ে চলছে রাজউক

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৩ ১৬:৩০:১৮


ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), এগিয়ে চলছে রাজউক এমন মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার

আজ রবিবার (২৩জুন) রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। পাঁচ দিনব্যাপী ‘রাজউক সেবা সপ্তাহ’রবিবার  থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে আবেদন করেছেন এমন আবেদনকারীদের ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, নির্মাণ অনুমোদনপত্র, নামজারীপত্র ও রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দকারীদের ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

শহীদ উল্লা খন্দকার  বলেন, ‘রাজউক সেবা প্রত্যাশীদের দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদান লক্ষ্যে অনেকগুলো ধাপ কমানো হয়েছে। এ ছাড়াও অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনপত্র দেয়া শতভাগ চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে রাজউকের যাবতীয় সেবা অনলাইনে দেয়া হবে।’

সচিব বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ব্যর্থতা থাকলেও রাজউকের অর্জন অনেক বেশি। এই সেবা কার্যক্রম সারা মাসব্যাপী, বছর ব্যাপী। রাজউক যতদিন থাকবে তত দিনব্যাপী এমন সেবা থাকবে। সেবা সহজীকরণের ফলে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন দফতরে গিয়ে আর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে না। এটি রাজউকের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’

আবাসনের কথা উল্লেখ করে শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ নাগরিকেরই আকাঙ্খা থাকে রাজধানীতে একটি আবাসনের ব্যবস্থা। যে কয়টি সংস্থা আবাসনের ব্যবস্থা করে তাদের মধ্যে রাজউকের কাছেই মানুষের আকাঙ্খা থাকে বেশি। রাজউকের জন্য এই বিশাল সংখ্যা নাগরিকের আবাসনের ব্যবস্থা করা একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির কাছে আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। সেই ঋণ পরিশোধের সময় এখন। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বের সাথে কাজ করতে হবে। রাজউককে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনো ভবন নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে প্রতিটি ইঞ্চি মেপে দেখতে হবে।’

সার্টিফিকেট এর কথা উল্লেখ করে পূর্ত সচিব আরও বলেন, ‘ভবন নির্মাণ শেষ হলে রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (বসবাস ব্যবহার ছাড়পত্র) নিতে হবে। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস পাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। উন্নত দেশগুলোতে আইন অমান্য করলে জরিমানা এত বেশি যে সেসব দেশের নাগরিকরা ভয়ে আইন অমান্য করে না। রাজউককেও এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘অটোমেশনের ক্ষেত্রে রাজউক বিশাল অগ্রগতি সাধন করেছে। গ্রাহকরা এখন রাজউকে না এসেই ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ভবন নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন এবং অনলাইনেই তাদের আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। ফলে নীরব বিপ্লব শুরু হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, রাজউকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী শতভাগ শ্রম ও মেধা দিয়ে এই কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সানবিডি/ এমএফইউ