নয়াপল্টনে বার বার ককটেল বিস্ফোরণ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৪ ১৪:২৭:১৬


ছাত্র দলের কমিটি নিয়ে টান টান উত্তেজনা মাঝে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। বয়সসীমা নির্ধারণ না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে চলে যাওয়ার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে।

আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১টার পরে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ছাড়া আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় দেখা গেছে। তবে কে বা কারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এর আগে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বাধার মুখে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি বিএনপির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেন। তখন তারা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

ফজলুল হক মিলন তখন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের পাল্টা কথায় নীরব হয়ে যান।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিলনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আগেই সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরপর কাউন্সিলে আপনার জুনিয়রদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনেক পদ দেয়া হয়েছে, কিন্তু আপনাকে সাংগঠনিক সম্পাদকই রাখা হয়েছে- এগুলো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত। দলের মধ্যে যারা সরকারের দালাল রয়েছে তাদের বহিষ্কার করতে হবে। রিজভীকে দল থেকে বের করে দিলে পার্টি শান্ত হবে। পার্টিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

এমন পরিস্থিতিতে ফজলুল হক মিলন একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

টএ ছাড়া ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের (দক্ষিণ) সভাপতি এস এম জিলানী সংগঠনের কয়েক জন নেতাকর্মীকে নিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে ঢুকতে পারেননি।

আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেমে থেমেই উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এ সময় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।

তাদের অবস্থানের ফলে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ও ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রাজীব আহসানসহ শতাধিক নেতাকর্মি।