বীজ মানসম্পন্ন হলে ২০ ভাগের অধিক ফলন সম্ভব
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৭ ১৬:১৭:৪৮
একই ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ ভাগের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের দেশের চাষীরা নিজ নিজ ফসলের অপেক্ষাকৃত ভালো অংশ পরবর্তী ফসলের বীজ হিসাবে ব্যবহার করে। কিন্তু একই বীজ থেকে বারবার চাষ করলে ফসলের ফলন অনেক হ্রাস পায়। তাই ২/৩ বছর পর পর বীজ পরিবর্তন খুবই জরুরি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ মেলা-২০১৯ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। ২০২০-৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। মানসম্মত বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আশরাফ উদ্দীন বলেন, ‘কৃষির মূল উপকরণ হচ্ছে বীজ। বীজ উদ্ভিদ জগতের ধারক ও বাহক। বীজই ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এসডিজি-২ অর্জনের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্মত বীজের সরবরাহ ২০২০-২১ সালে ৪ লাখ ৪ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিক টন, ২০২৪-২৫ সালে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮শ ৬০ মেট্রিক টন এবং ২০২৯-৩০ সালে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬শ ৪৪ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি ও নীতি বাস্তবায়নের ফলে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। ২০২০-৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পৌঁছাতে মানসম্মত বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো মানসম্মত বীজ।’
আশরাফ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো মানসম্মত বীজ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চাহিদামাফিক মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। একই ব্যবস্থাপনায় শুধু মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫-২০ ভাগের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ফরমাল সেক্টরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ মানসম্মত বীজ চাষী পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। বাকিটা কৃষকরা নিজেদের বীজ ব্যবহার করে থকে। প্রধান দানাশস্য ফসল ধান ও গমের ক্ষেত্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহ যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ধান বীজের ক্ষেত্রে মৌসুমওয়ারী বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে মানসম্মত বীজের সরবরাহ শতকরা হার যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ৫৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ২৯ দশমকি ৭২ শতাংশ।