যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৮ ১৫:১৪:৩৬
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আরও বেশি পরিমাণে তুলা আমদানি করতে আগ্রহী। আর এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-কে লেখা চিঠিতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
মন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সুবিধা দেয় তাহলে বাংলাদেশ অধিক পরিমাণে তুলা আমদানি করবে যা তাদের উপকারে আসবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৩০ কোটি ডলার মূল্যের তুলা আমদানি করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম তুলা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চীন শুল্ক আরোপের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের তুলা অ্যাসোসিয়েশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে এবং আরও বেশি তুলা আমদানির বিষয়ে এখানকার সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে বৈঠক করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক কারণ বেসরকারি খাত যেখানে সুবিধা পাবে সেখানে ব্যবসা করবে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার।’
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে কিন্তু ধনী দেশটি কখনোই আমাদেরকে ওই সুবিধা দেয়নি বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে কিন্তু এর বিপরীতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর গড়ে ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছি তাদের কাছ থেকে আরও অধিক পরিমাণে আমরা তুলা আমদানি করবো। কিন্তু আমাদের তৈরি পণ্যের ওপর শুল্ক অব্যহতি দিতে হবে।’
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রও একটি সুবিধা চেয়েছে এবং আমরা সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করার পরে ফুমিগেশন পদ্ধতির মাধ্যমে তুলাকে বিশুদ্ধ করা বাধ্যতামূলক যা খরচ বৃদ্ধি করে এবং যুক্তরাষ্ট্র ওই পদ্ধতি রহিতকরণ চায়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বিষয়টির ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপত্তি আছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিতে অনেক সময় লাগে। ফলে তুলায় একধরনের পোকা জন্মায় যা আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর।’
ফুমিগেশন না করা হলে ওই ক্ষতিকর পোকাকে দূর করা যায় না বলে অভিমত দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি এবং এ বছর ঢাকা ওয়াশিংটন টিকফা বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’