কর্মকর্তারা কালভার্ট-স্কুলের নথি আমার কাছে দেরিতে আনেন  : পরিকল্পনামন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-২৯ ১৩:৫৯:২৩


কিছু নথিপত্র খুব দ্রুত পাই, বিমানবন্দর কিংবা স্টেশনে থাকলেও পাই। তবে তাতে তিনি কিছু মনে করিনা, সই করে দি । কিন্তু গ্রামের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা নির্মাণের মতো নথিগুলো তার কাছে অনেক ঘুরে দেরিতে পৌঁছায় এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ।

আজ শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘কার্যক্রম বিভাগে একটি নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্টেশনে গেলেও ফাইল পাই, এয়ারপোর্টে গেলেও ফাইল পাই। আমি এতে কিছু মনে করি না। আমার কাছে ওই ফাইলগুলো যায়, অন্য ফাইলগুলো যায় না। সেই ফাইলগুলো কেমন যেন শনিবার, শুক্রবার, এয়ারপোর্ট, স্টেশন, বিল হয়ে ঘুরে আসে। কিন্তু আমি চাইব, অন্যান্য যেমন- কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ফাইলগুলোও যেন দ্রুত আসে। এতে আপনি পূণ্য পাবেন, আমি আনন্দ পাব।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার কাছে যেকোনো সময় ফাইল নিয়ে আসতে পারেন। এমনকি আমি ওয়াশরুমে থাকলেও। আমি স্বাক্ষর করব। কিন্তু জনগণের উপকার যেন হয়।’

এ সময় প্রকল্প পরিচালক মো. ছায়েদুজ্জামান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন, কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সরকারের বিনিয়োগ (উন্নয়ন বাজেট) ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কার্যক্রম বিভাগে নতুন ডাটাবেইজ ও রিপোর্টিং সিস্টেম স্থাপন করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দিন দিন একটা সম্পূর্ণ নতুন জগৎ আসছে। এটা বাংলাদেশে পরে আসবে। কারণ, আমরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি নই। অভিজ্ঞও নই। উই আর নট এ সাইন্টিফিক্যালি ওরিয়েন্টেড পিপল। আমরা বিজ্ঞানকে সমীহ করি, কিন্তু বন্ধু ভাবি না। এটা আমাদের চরিত্রের মধ্যে বৈপরীত্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে আগ্রহী হলেও সেগুলো কীভাবে তৈরি হয়, সেটা সম্পর্কে আগ্রহী নই। আমরা টাকা দেব, আনব। ওইসব যন্ত্রের ব্যাপারে নিজেরা খোলসা করছি না। ভালোবাসাও নেই। কিন্তু ব্যবহার করি। অথচ প্রযুক্তি খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সরকার, কিন্তু ছুঁই ছুঁই করে ধরছি না।’