বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৮ ১০:৫৭:০৪
বিদ্যুৎ খাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, বিগত পাঁচ বছরে ১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য দেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী। তার অনুপস্থিতিতে এ সময় সংসদে তার পক্ষে সম্পুরক প্রশ্নের উত্তর দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে ২০০৯ সালের ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে সেটি ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২১ হাজার ৬২৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৫৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে আরও ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনসংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
সরকারি দলের সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্যহার শিল্প গ্রাহকের মূল্যহারের চেয়ে দ্বিগুণ নয়। শিল্প গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেট ৮ টাকা ২০ পয়সা এবং পিক রেট ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। অপর দিকে আবাসিক গ্রাহকের গড় বিদ্যুত বিক্রয় মূল্যহার ৫ টাকা ৭০ পয়সা। আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে লাইফ লাইন স্লাব (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ যার, রেট ৩ টাকা ৫০ পয়সা। নিম্নবিত্তদের জন্য এই কম মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাপেক্স কর্তৃক সর্বশেষ গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ভোলা জেলায় ’ভোলা নর্থ’ গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে। এই গ্যাস ক্ষেত্রটির উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সম্ভাব্য পরিমাণ ৪২০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট (বিসিএফ) ।
তিনি জানান, এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি মূল্যায়ন কূপ খননের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া প্রসেস প্ল্যান্ট স্থাপন এবং পাইপ লাইন নির্মাণের বিষয়টি পরিকল্পনাধীন আছে।