বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব বান কি মুনের

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১০ ২২:৩৮:২৫


জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন-এর চেয়ারম্যান বান কি মুন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। বুধবার (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বান কি-মুন। তার সঙ্গে ছিলেন মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ড. হিলদা সি হেইনে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের জন্য বাংলাদেশকে একটি মডেল হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে বাংলাদেশ সেরা শিক্ষক।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) বিশ্বনেতাদের মধ্যে অন্যতম, যিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাটি নিয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থাবান।’
বান কি মুন এবং ড. হিলদা উভয়ে অভিযোজনের প্রতিকূল প্রভাবকে মানিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গৃহীত কৌশলের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বান কি মুন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে বাংলাদেশ।’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বায়ুদূষণের জন্য দায়ী ‘কার্বন’ বাংলাদেশ খুব সামান্যই নিঃসরণ করে থাকে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে স্বাধীনতার পর বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পথ দেখিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারে সবুজবেষ্টনী গড়ে তুলেছিলেন এবং যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তখন ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাছাড়া জাতির পিতা জনগণের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুদের জীবন রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ গঠন করেছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তার সরকারের উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং জনগণের জন্য অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাসস।